কিভ: ১,২,৩...১০০! ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে এল রুশ (russian) ক্ষেপণাস্ত্র (missile)। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রমণের (fresh attack) ঝাঁঝ বাড়িয়েছে মস্কো (moscow) , দাবি কিভের (kiev_। মূলত শক্তি পরিকাঠামোগুলিই হামলার লক্ষ্য রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের। ফল? ইউক্রেনের (Ukraine) বিশাল অংশ অন্ধকারে ডুবে।


কী পরিস্থিতি?
কিভের তরফে ইউরি ইগনাট বলেন, 'জবরদখলকারীরা ১০ অক্টোবরের রেকর্ডও ছাপিয়ে গিয়েছে। সে বার ৮৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তারা। এবার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।' তাঁর দাবি, কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা গেলেও তার সংখ্যা কত এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। সংবাদসংস্থা এপি-র সংযোজন, কিভের আবাসিক এলাকাগুলিকেও এবার হামলার নিশানা করেছে পুতিনের বাহিনী। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে যে হারে হামলা চলছে, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকছেই। 


প্রেক্ষাপট...
এই নিয়ে ন'মাস ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের। হালেই খেরসন পুনর্দখল করে সামরিক জয়ের নিরিখে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিল ভোলোদিমির জেলেনস্কির সেনা। তারই জেরে কি আক্রমণের তীব্রতা বাড়াল পুতিন-বাহিনী? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এর মধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, 'আরও অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার কথা। বম্ব শেল্টারে আশ্রয় নিন। আমরা জানি রাশিয়া কী চাইছে। ওরা ব্য়র্থ হবে।' আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদের পর্যবেক্ষণ, যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার আর্থিক ক্ষতির ভার যত বাড়ছে তত বেশি করে ইউক্রেনের শক্তি পরিকাঠামোগুলিক উপর হামলার ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে তারা। শীত আসতে দেরি নেই। এই অবস্থায় ইউক্রেনের বাসিন্দাদের অন্ধকারে, বিদ্যুৎবিহীন করে রেখে যুদ্ধজয়ের কৌশল নিয়েছে মস্কো, এমনই ধারণা অনেকের। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছে কিভ-ও। জরুরি ভিত্তিতে 'ব্ল্যাকআউট' করা হচ্ছে দেশজুড়ে। তার মধ্যে ফের ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র।
সূত্রের খবর, এদিন দেশের পশ্চিম দিকে লিভ, জাইতোমির, রিভাইন শহরে হামলা চলেছে। পাল্লা দিয়ে উত্তরপূর্বের খারকিভ শহরেও ধেয়ে এসেছে ক্ষেপণাস্ত্র। ভোলোদিমির জেলেনস্কির শহরও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সব মিলিয়ে ধ্বংসের ছবি জায়গায় জায়গায়। কবে শেষ বদলাবে এই ছবি? উত্তর নেই। লড়াই চলছে শুধু। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শুরুতেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী থাকল রাশিয়া। একদিনে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের প্রায় ১ হাজার সৈনিক মারা পড়েছে বলে দাবি করেছিল ইউক্রেন। বিগত আট মাসের যুদ্ধে একদিনে এত সংখ্যক প্রাণহানি রাশিয়া দেখেনি বলে দাবি ছিল কিভের।
 


আরও পড়ুন:আচমকা চায়ের দোকানে হাজির মমতা, ঝাঁঝরি নিয়ে ভাজলেন চপ, হাতে হাতে তুলেও দিলেন