নাগপুর: ভাগ্য যদি সহায় হয় তাহলে 'রাখে হরি মারে কে'! এ প্রবাদ বাক্য অনেকের জীবনেই বাস্তব হয়েছে। আর এমনই এক ঘটনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন ৩৮ বছর বয়সি এক যুবা! তাঁর পরিবারের মত, ঈশ্বর বেশে ওই চিকিৎসকের হাতেই জীবন পেয়েছেন বাড়ির ছেলে।
ঠিক কী ঘটেছে?
মাসখানেক আগের ঘটনা। ৩৮ বছরের যুবক হঠাৎই বুকে একতি ব্যথা অনুভব করেন। কিছু বুঝতে পারার আগেই হার্ট অ্যাটাক। এক ঘণ্টা ধরে কোনও হৃদস্পন্দন ছিল না। কিন্তু হাল ছাড়েননি চিকিৎসকরা। টানা সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তাঁকে প্রাণ ফিরিয়ে দেন তাঁরা। এরপর ৪৫ দিন হাসপাতালের আইসিইউতে থাকার পর ১৩ অক্টোবর ওই যুবক সুস্থ শরীরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানান হয়, এই সিপিআর করার নির্দিষ্ট নিয়মও রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের পর ৪০ মিনিট টানা সিপিআর করা যেতে পারে। কিন্তু এরপরও যদি হৃদস্পন্দন (no return of spontaneous circulation) না ফিরে আসে তাহলে সিপিআর বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এই ঘটনায় কার্ডিওলজিস্ট ড. ঋষি লোহিয়া রোগীর বয়স দেখে ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশনের কারণে ৪০ মিনিটের থ্রেশহোল্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ডিফিব্রিলেশন শক সহ সিপিআর চলতে থাকে।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে, ওই যুবককে ৪৫ মিনিটের সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। ডাঃ লোহিয়া বলেন, প্রথম সিপিআর ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে যখন ৩০ সেকেন্ডের জন্য ROSC রেকর্ড করা হয়েছিল কিন্তু জরুরী পরিস্থিতির কারণে নথিভুক্ত করা হয়নি। “যদি ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন দেখা যায়, কার্ডিয়াক ম্যাসেজের সঙ্গে ডিফিব্রিলেশন শক ব্যবহার করা হয়। এটি হার্ট পুনরায় চালু করতে সহায়তা করে। দীর্ঘায়িত সিপিআরের কারণে পাঁজর ভেঙ্গে যায় এবং বারবার ধাক্কা খেলে ত্বক পুড়ে যায়। এই রোগী ভালো সিপিআরের কারণে এই দুটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনোটিতেই ভোগেননি"।
আরও পড়ুন, রেস্তোরাঁয় বিল দেওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকের নাটক! অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত