Asthma Relief By Eating Raw Fish: হাঁপানির রোগ সারাতে কাঁচা মাছই নাকি পথ্য। আর এই পথ্য খাওয়ানো হচ্ছে গত ১৭৮ বছর ধরে। হায়দরাবাদের গৌড় পরিবারে এতদিন ধরে এই মাছ খাওয়ানোর পদ্ধতি প্রচলিত। দীর্ঘদিনের এই রীতি নিয়ে যথারীতি বিতর্ক রয়েছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু মাছ খাওয়ানোর এই চল একটুও কমেনি। বরং দিন দিন এই জনপ্রিয়তা বেড়েছে। চলতি বছরেও সেই রীতি একই ভাবে আয়োজন করছে হায়দরাবাদের ওই গৌড় পরিবার। মাছ খাওয়ানোর এই অনুষ্ঠান ৮ জুন ও ৯ জুন পালন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।
কেন খাওয়ানো হয় এই মাছ ?
হায়দরাবাদের গৌড় পরিবারের মূলত চার সদস্য এইবার আয়োজন করতে চলেছেন এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি। সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্য বথিনি অমরনাথ গৌড় জানান, তারা তেলঙ্গানা সরকারকে এই অনুষ্ঠানটি আরও বড় করে আয়োজনের অনুরোধ করেছেন। অমরনাথ ছাড়াও আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন
গৌরীশঙ্কর গৌড়, শিবশঙ্কর গৌড়, সন্তোষ গৌড়। এছাড়াও, অন্যান্য সদস্যরাও কিছু না কিছু দায়িত্বে থাকেন। চলতি বছরে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে মৃগশিরা কার্তির দিন।
কীভাবে বানানো হয় এই মাছ প্রসাদম ?
প্রথমে হলুদ দিয়ে একটি ভেষজ মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি দিয়ে মাছের মুখে প্রবেশ করানো হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মুখ। এর পর সেই জ্যান্ত মাছটি প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় একজন ব্যক্তির মুখে।
নিরামিষাশীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা
হাঁপানির সমস্যা নিয়ে অনেক নিরামিষাশীও আসেন। কিন্তু তাদের একইভাবে মাছ খাওয়ানো হয় না। তার বদলে গুড় দিয়ে একটি বিশেষ পথ্য তৈরি করে দেওয়া হয়। সেটাই সেবন করতে হয়।
প্রসাদমের পরে আরেক প্রসাদম
এই প্রসাদমের পর আরেক প্রসাদ দেওয়া হয়। ওই পরিবারের দাবি অনুযায়ী, এর পর ৪৫ দিনের জন্য একটি পথ্য তৈরি করে দেওয়া হয়। সেই পথ্যটি অরুদ্র, পুনর্বসু, পুষ্যামি এই তিন তিথিতে খেতে হয়।
চিকিৎসকদের মতামত
চিকিৎসকদের কথায়, এভাবে জ্যান্ত মাছ খেলে শরীরের অন্যান্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁপানি কমার কোনও নিশ্চয়তা আছে বলেও মনে করেন না চিকিৎসকরা।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Pune Minor Accident: নাবালকের ২০০ কিমি বেগে পোর্শে ড্রাইভিংয়ের খেয়াল ! প্রাণ দিয়ে মাসুল গুনলেন ২ ইঞ্জিনিয়ার