কলকাতা: বিশ্বের আশ্চর্য স্থাপত্যগুলির মধ্যে অন্যতম মিশর বা অধুনা ইজিপ্টের পিরামিড। বহু রহস্য এখনও সেগুলিকে ঘিরে রেখেছে। এখনও বহু লোককথা মুখে মুখে ফেরে। বৈজ্ঞানিকরা একাধিক তথ্য আবিষ্কার করলেও এখনও রহস্যে ঢাকা অনেককিছুই। আবার এই পিরামিড ঘিরেই রয়েছে একাধিক কনস্পিরেসি থিওরি (Conspiracy theory) রয়েছে। আর সেই তত্ত্ব পিরামিডকে জুড়ে দিয়েছে ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের (aliens build pyramids) সঙ্গে। যে দুটি বিষয় নিয়েই অসীম আগ্রহ রয়েছে বহু মানুষের।


পিরামিডের যা স্থাপত্য কৌশল তাতে অত বছর আগে মানুষের পক্ষে সেই পিরামিড (pyramids of egypt) তৈরি প্রযুক্তিগত ভাবে আদৌ সম্ভব ছিল কিনা তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। তাই ইন্টারনেটের দুনিয়ায় একটি প্রশ্ন প্রায়শই ভেসে বেড়ায়- পিরামিডগুলি কি আদৌও মানুষের তৈরি? না কি ভিনগ্রহীদের অবদান? কারণ সেই যুগে যখন বড় বড় পাথরের সাহায্যে এই ধরনের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল তখন এমন কোনও প্রযুক্তি থাকা প্রায় অসম্ভব বলে দাবি সেই অংশের।  


মিশরের গ্রেট পিরামিড
মিশরের গ্রেট পিরামিড সম্পর্কে বলা হয় যে এটি তৈরিতে প্রায় ২৩ লক্ষ চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হল এই পিরামিড তৈরিতে ব্যবহৃত প্রতিটি পাথরের ওজন ছিল প্রায় ২ টন। এখন এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, সে সময় যখন ক্রেনের মতো কোনও প্রযুক্তিই ছিল না। তাহলে কীভাবে এই পাথরগুলো তুলে পিরামিডের মধ্যে এত উঁচুতে বসানো হলো?


কীভাবে এলিয়েনদের সাথে সংযোগ?
আসলে, গিজায় নির্মিত তিনটি পিরামিড ওরিয়ন বেল্টের তিনটি তারার সঙ্গে সারিবদ্ধ। এ ছাড়া পিরামিডের দেয়ালে বহু  হায়ারোগ্লিফিক লিপি পাওয়া গিয়েছে, যা পাঠোদ্ধার হয়নি। দাবি করা হয়, সেই লিপিতে এমন করে সাজানো হয়েছে যেখানে মহাকাশযানের মতো করে জিনিস তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পিরামিডের ভূগর্ভস্থ দেয়ালে অনেক ধরনের আঁকা রয়েছে। কারও কারও দাবি, সেটা দেখে মনে হয়। কিছু মানুষ বাল্বের মতো কিছু একটা ধরে রেখেছে। এই জিনিসগুলির কারণে, কিছু লোক বিশ্বাস করেন যে মিশরের তিনটি গ্রেট পিরামিড ভিনগ্রহীরা তৈরি করেছিল। যদিও এটা প্রমাণ করার মতো কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। শুধুই ধারণা।


নীল নদ সংযোগ
কয়েক বছর আগে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা গিজার পিরামিড থেকে জীবাশ্মের কিছু মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেগুলি পরীক্ষার জন্য ফ্রান্সের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেই নমুনাগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে সেগুলির মধ্যে উপস্থিত জীবাশ্মগুলি যাদের তাদের নীল নদের তীরে পাওয়া যায়। এই তত্ত্বের ভিত্তিতে, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন যে মিশরীয়রা নীল নদের জল ব্যবহার করে এই বড় পাথরগুলিকে উঁচুতে তুলত।


আরও পড়ুন: আজই পদত্যাগ? কোন দলে যোগ? আজই বলবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?