পাটনা: একটা-দুটো নয়, একবারে দেড়শোটা 'মোমো' (Momo Challenge) খাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন বন্ধুরা। সেই চ্যালেঞ্জই কাল হল। চ্যালেঞ্জমাফিক দেড়শো মোমো খেতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বিহারের (Bihar Youth Death) তরুণ বিপিন কুমার মাঁজি। গোপালগঞ্জ জেলার ঘটনা।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ জেনেছে, শিহরোওয়া গ্রামের বাসিন্দা বিপিন চ্য়ালেঞ্জের মাঝেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় স্টেশন পুলিশ অফিসার শশী রঞ্জন বলেন, 'হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বিপিন। দোকান মালিক এবং বিপিনের দুই বন্ধু আমাদের খবর দিয়েছিলেন। দ্রুত তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান তরুণ।' গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যে তরুণের দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাতে দেহ ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবার অবশ্য গোটা ঘটনাটির নেপথ্যে অন্য কারণ দেখছে। তাদের বক্তব্য, বিপিনের বন্ধুরা তাঁকে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। 


আর যা...
মোবাইল ফোন সারাইয়ের কাজ করতেন ওই তরুণ। গোপালগঞ্জ জেলার 'জ্ঞানি মোর' এলাকায় তাঁর একটি দোকান ছিল। সেই এলাকা থেকেই বিপিনের সংজ্ঞাহীন দেহ মিলেছিল, জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, একবারে দেড়শো মোমো খেতে হবে, এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তরুণ। সেইমতো খাওয়াও শুরু করেন। কিন্তু মোমো খেতে খেতেই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন বিপিন। দোকানের মধ্যেই তাঁর শরীর খারাপ হতে শুরু করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পরই যা হওয়ার হয়ে যায়। কিন্তু এই ভাবে, মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে ছেলের হঠাৎ চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছে না মাঁজি পরিবার। শোকে কথা ভুলেছেন সকলে। তবে স্রেফ 'মোমো চ্যালেঞ্জ' জিততে গিয়ে যে বিপিনের এরকম মর্মান্তিক পরিণতি হয়নি, সে ব্যাপারে একরকম নিশ্চিত তাঁরা। মৃতের বাবা বিষ্ণু মাঁজি বলেন, 'দু'জন অপরিচিত যুবক আমার ছেলেকে ফোন করে দোকানে ডেকে নিয়েছিল। তার পর ও আর ফিরল না। রাস্তার ধারে আমার ছেলের দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন কয়েকজন।' পুত্রহারা বাবার দাবি, তাঁরাই প্রথম পুলিশ স্টেশনে খবর দেন। কিন্তু যে পুলিশ স্টেশনে খবর দেওয়া হয়েছিল, তারা দেহ সরাতে চায়নি। বলে, এলাকাটি অন্য থানার আওতায়। তার পরই দায়িত্ব নেন 'থওই' পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, মোমো চ্যালেঞ্জের জেরেই এই পরিণতি। সত্যি কী হয়েছিল? তদন্তে উঠে আসবে। আর যিনি জানতেন, তিনি এখন আর নেই।    


আরও পড়ুন:'বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুললেন শোভন