শ্রীনগর: সামনে ভয়ঙ্কর সব আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)। জঙ্গিদের (militants) গুলি (bullets) উড়ে আসছে সাঁ সাঁ করে। কিন্তু অ্যাক্সেল (Axel) ভয়ডরহীন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর (Indian Army) সতীর্থদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে গিয়েছে সে। তবে সব লড়াই শেষ (dead) নির্ভীক সারমেয়ের (Army Dog)। ভারতীয় সেনা সদস্যরা অবশ্য এই সঙ্গীকে ভুলতে পারছেন না। অ্যাক্সেলের বীরত্বের কথা জানিয়ে তাই ট্যুইট (Tweet) করলেন তাঁরা।
কে তুমি অ্যাক্সেল?
একেবারে সহজ করে বললে, সেনা-কুকুর। তবে সে শুধু কেজো পরিচয়। সেনাবাহিনীর প্রত্যেকের কাছে এই জার্মান শেফার্ডটি আর পাঁচ জন সতীর্থের থেকে কম ছিল না। সম্ভবত সে কারণেই শনিবার সকালে বারামুলার ওয়ানিগাম গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযানে তাকেও নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল, ওই এলাকায় অন্তত তিন জন সন্দেহভাজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। এদের এক জন পাক-নাগরিক বলেও জেনেছিলেন তাঁরা। সময় নষ্ট না করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গতিবিধি বুঝতে অ্যাক্সেলের দেহে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে নির্দিষ্ট একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সঙ্গে ছিল তার দোসর 'বাজাজ'। বিপদ বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তুমুল লড়াই শুরু হয় দুতরফের মধ্যে। তার পর... জঙ্গিদের ছোড়া পর পর তিনটি গুলি লাগে অ্যাক্সেলের শরীরে। আর বাঁচানো যায়নি তাকে।
শ্রদ্ধা জানাল সেনা...
রবিবার নিহত সারমেয়ের দেহে মাল্যদান করা হয়। সার্ভিসে থাকাকালীন তার নম্বর ছিল '74B7'। ২৬ নম্বর আর্মি ডগ ইউনিটের এই সদস্যকে ট্যুইটারে শ্রদ্ধা জানায় ভারতীয় সেনার 'চিনার কর্পস'। গুলির সামনেও যতটা নির্ভীক ভাবে সে লড়ে গিয়েছে, তাকে কুর্নিশ করেন অ্যাক্সেলের সতীর্থরা। বার্তার সঙ্গে ছিল তার ছবি।
পোস্টটি আসতেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাইক, কমেন্ট, রিটুইটের বন্যা।
অ্যাক্সেল-রা আসলে কোথাও চলে যায় না। থেকে যায়, সাহসে, বীরত্বে, গাঁথায়।
আরও পড়ুন:এবার GST নম্বর কারচুপির অভিযোগ অর্পিতার বিরুদ্ধে !