কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভারতের বিশাল বৈচিত্র্য আশ্চর্য করার মতোই। এই বিশাল ভূখন্ডের একদিকে যেমন পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র। আর এই পাহাড়ের সারির মধ্যেই নাকি রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতবিন্দু। মাউন্ট এভারেস্ট । পৃথিবীর উচ্চতম পাহাড়-পর্বতগুলির মধ্যে প্রথমেই নাম উঠে আসে মাউন্ট এভারেস্টের। ভারত ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত এই পর্বতটির উচ্চতা মেপেছিলেন এক বাঙালি। তিনি রাধানাথ শিকদার। মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার। তিনিই প্রথম এটি মেপে বার করেন। ৮৮৪৮ মিটার উঁচু এই পর্বতের সঙ্গে জড়িয়ে নানা চমকে দেওয়ার মতো সত্যি।
প্রতি বছর বাড়ছে মাউন্ট এভারেস্ট !
মাউন্ট এভারেস্ট প্রায় ৬ কোটি বছরের পুরনো। গন্ডোয়ানা পাত ও ইউরেশিয় পাতের সংঘর্ষে টেথিস সাগর থেকে হিমালয়ের সৃষ্টি। আর এই হিমালয়ের মধ্যেই রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। বিজ্ঞানীদের কথায়, এখনও এই দুটি পাতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে চলেছে। তাই হিমালয় অঞ্চল বেশ ভূমিকম্প প্রবণ। আর এই কারণেই প্রতি বছর মাউন্ট এভারেস্ট উচ্চতায় বাড়ছে। উঠতি বয়সের শিশুর মতোই তার উচ্চতা ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে প্রতি বছর।
দ্বিতীয় স্থানে গডউইন অস্টিন
৮৬১১ মিটার দীর্ঘ এই পর্বতটি এভারেস্টের পরেই দীর্ঘতম পর্বতের তালিকায় রয়েছে। একে কে২-ও বলে থাকেন অনেকে। মূলত পাকিস্তান ও ভারতের সীমারেখায় অবস্থিত গডউইন অস্টিন। এটি কারাকোরাম রেঞ্জের একটি পর্বত।
তৃতীয় স্থানে বাঙালির প্রিয় কাঞ্চনজঙ্ঘা
গোটা পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতগুলির মধ্যে প্রথম তিনটিই ভারতের সীমারেখায়। যেমন ধরা যাক, কাঞ্চনজঙ্ঘার কথা। বাঙালির এই প্রিয় পর্বতটি ভারত-নেপাল সীমান্তে। উচ্চতা ৮৫৮৬ মিটার।
মাউন্ট এভারেস্ট কি আদৌ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত ?
মাউন্ট এভারেস্টকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত বলে মনে করা হয়। কিন্তু আদৌ কি তাই। বিজ্ঞানীদের তথ্য বলছে, অন্য আরেকটি পর্বতের কথা। সেটি মৌনা কিয়া। মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার। কিন্তু মৌনা কিয়ার উচ্চতা ১০২০৫ মিটার। তাহলে ? আসলে এটি পর্বতের সমগ্র উচ্চতা। এর মধ্যে বেশ কিছুটা রয়েছে সমুদ্রের নিচে। আর কিছুটা রয়েছে সমুদ্রের উপরে। সমুদ্রের উপরের হিসেবটাই আমরা ধরে থাকি। সেদিক থেকে মৌনা কিয়া আগ্নেয়গিরির মাত্র ৪২০৫ মিটার সমুদ্রের উপরে। তাই সমুদ্রতলের উপরে থাকা অংশের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে মাউন্ট এভারেস্ট। কিন্তু সমগ্র দৈর্ঘ্যের নিরিখে এগিয়ে মৌনা কিয়া।
আরও পড়ুন - Selfie Tips: সেলফি তুলতে দিতে হয় টাকা! পর্যটকদের থেকে অর্থ উপার্জনেই ধনী এই গ্রাম