কলকাতা: অপটিকাল ইলিউশন (Optical Illusion) মানেই চোখ-মাথায় ঘোর লেগে যাওয়া। এতটাই দৃষ্টিভ্রম হয় যে আপনি ছবি ও ছবির অর্থের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করতে পারবে না। এই ধরনের নকশাকে বিজ্ঞানীরা (Scientist) বলে থাকেন পিন্না-ব্রেলস্টাফ ইলিউশন।


অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টিভ্রম। এই ধরনের ছবি মস্তিষ্কের উপরে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে থাকে। মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন, অনেকসময় অপটিকাল ইলিউশনের মাধ্যমে আপনার চরিত্রও না কি বোঝা যায়। সবই অবশ্য নির্ভর করবে আপনি কী দেখছেন? কীভাবে দেখছেন? আপনার ভিস্যুয়াল ক্ষমতাই বলে দেবে আপনার চরিত্র কেমন? আপনি মানসিকভাবে সক্ষম না কি খুব অল্প আঘাতেই ক্ষতবিক্ষত হন। 


বিজ্ঞানীরা এও জানান যে এই দৃষ্টিভ্রম আমাদের মস্তিষ্কে ঠিক কী ভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দৃষ্টিবিভ্রমকারী একটি নকশা।                                                                         


আরও পড়ুন, সাদা-কালো না রঙিন? এই টিয়ার আসল রঙ খুঁজতে হিমশিম সকলেই


কী রয়েছে ছবিতে?


সেই নকশার কেন্দ্রে থাকে একটি কালো বিন্দু। তার চারদিকে বৃত্তের আকারে থাকে বিভিন্ন রঙের কৌণিক নকশা। এই দৃষ্টিভ্রমকারী নকশার কেন্দ্রবিন্দুর দিকে মাথাকে এগিয়ে নিয়ে গেলে মনে হবে বৃত্তটি ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে ঘুরছে। আবার কেন্দ্র থেকে চোখ দূরে সরালে মনে হবে বৃত্তটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত অভিমুখে ঘুরছে। বাস্তবে কিন্তু বৃত্তটি কোনওদিকে নড়াচড়া করছে না। শুধুমাত্র অপটিক্যাল ইলিউশনের জন্যই আমাদের এ রকমটা মনে হবে। 


বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, এই দৃষ্টি বিভ্রম আমাদের মস্তিষ্কের চলমানতাকে ১৫ মিলিসেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ করে দেয়। দৃষ্টিভ্রমের এই নকশায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এই অপটিক্যাল ইলিউশনের ক্ষেত্রে বোকা বনে যায় আমাদের মস্তিষ্ক।