কলকাতা: কাজ করতে করতে কারও কারও পেন, পেনসিল মুখে দিয়ে চেবানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু সচেতনভাবে কাউকে এগুলি খেতে দেখা যায়? এর উত্তর নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। টুথপিক খাওয়ার ‘ট্রেন্ড’ শুরু হয়েছে সেই দেশে। কোরিয়ার নাগরিকরা এখন গরম তেলে টুথপিক ভেজে তাতে চিজ মাখিয়ে খাচ্ছেন। কেউ কেউ এই খাওয়ার ভিডিয়ো টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার পোস্ট করছেন। কেউ আবার রান্না করে দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে এই সুস্বাদু টুথপিকভাজা বানাতে হয়। টুথপিক খাওয়ার এই হিড়িক দেখেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন! 


কী বলছে কোরিয়ার সরকার ?


সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্যসুরক্ষা মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে টুথপিক খেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বুধবার মন্ত্রকের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, খাবার হিসেবে টুথপিক নিরাপদ কি না তা এখনও যাচাই করে দেখা হয়নি। তাই এগুলি খাওয়া ঠিক নয়। টুথপিক সাধারণত দাঁত খুঁচিয়ে দাঁতের ময়লা বার করতেই কাজে লাগে। কিন্তু এটি যে দিব্যি চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায়, তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেন না । সম্প্রতি সেটাই হতে দেখে হকচকিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন। টুথপিকভাজা খাওয়ার প্রবণতা এড়াতেই এক্স-এ এই পোস্ট করেছে খাদ্যসুরক্ষা মন্ত্রক।


কোরিয়াতে টুথপিকের অন্য কাজ !


সাধারণত দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে গেলে তা টুথপিক দিয়ে বার করতে হয়। এটাই টুথপিকের কাজ। তবে কোরিয়াতে খাবার খাওয়ার কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়। চপস্টিকসের মতোই ওখানে চল রয়েছে টুথপিকের।


কোরিয়ান নাগরিকদের কী মত ?


টুথপিকভাজাতেই মজে রয়েছেন অধিকাংশ কোরিয়ান নেটিজেন। ভাইরাল ভিডিয়োগুলিতে বিচিত্র সব ক্যাপশন রয়েছে। তাতে নেটিজেনরা জানাচ্ছেন টুথপিকভাজা খেতে বেশ মচমচে, সুস্বাদু। এমনকি টকঝাল করে রাঁধলে আঙুল চাটতে পারেন যে কেউ ।


টুথপিকভাজার রেসিপি !


একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, টুথপিক তেলে ভেজে নিয়ে খাচ্ছেন কোরিয়ানরা। অনেকে এর সঙ্গে সিজনিং-এর জন্য পাউডারড চিজ রাখছেন। আবার কেউ কেউ টুথপিক রঙবেরঙের করে তুলতে এতে সবুজ রঙও মেশাচ্ছেন। ভাজার পর কেমন দেখতে লাগছে টুথপিক ? ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, এগুলি বাচ্চাদের প্রিয় ফ্রায়েড লম্বা  চিপসের মতো দেখতে। যা দেখলে জিভে জল আসা খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে হ্যাঁ, এটি খেয়ে পেট খারাপের আশঙ্কাও রয়েছে। তেমনটাই ইঙ্গিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্যসুরক্ষা মন্ত্রক।


আরও পড়ুন: Sadhvi Bhagawati Saraswati: টাইমস স্কোয়ারে রামমন্দিরকে রাষ্ট্রীয় মন্দির অ্যাখ্যা বিদেশিনী সাধ্বীর! আর কী বললেন তিনি