টোকিও: যমজেও (Fraternal Twins) এত অমিল! জাপানের (Japan) দুই বোনের ঘটনায় তাক লেগে গিয়েছে অনেকের। যমজ হওয়া সত্ত্বেও দুজনের উচ্চতায় ফারাক প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার অর্থাৎ প্রায় ২ ফুট সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি। নন আইডেন্টিকাল ট্যুইন্স অর্থাৎ একরকম দেখতে নন এমন যমজদের মধ্য়ে উচ্চতার ফারাকের নিরিখে 'গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড' (Guinness World Record) গড়েছেন ওঁরা। অবশ্যই মহিলা 'নন আইডেন্টিক্যাল ট্যুইন্সের' মধ্যে এই রেকর্ড।    


কী জানা গেল?
জাপানের ওকায়ামা শহরের ঘটনা। দুই বোনের নাম ইয়োশি কিকুচি ও মিশি কিকুচি। সাধারণত যমজ মানে একই রকম দেখতে হবে, এমন ধারণাই প্রচলিত। কিন্তু নন আইডেন্টিকাল ট্যুইন্সের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। চোখমুখ থেকে সবকিছুতেই, দুটি আলাদা মানুষ তাঁরা। ইয়োশি এবং মিশির ক্ষেত্রে অবশ্য এই ফারাকটা আরও বেশি স্পষ্ট। কারণ? তাঁদের উচ্চতা। ৩৩ বছরের এই যমজ বোনেদের এক জন, ইয়োশির উচ্চতা যেখানে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি সেখানে মিশির উচ্চতা ২ ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দুই যমজ বোনের এই উচ্চতার তফাৎ নিয়ে ট্যুইট করার পর থেকেই হইচই। 



সেখান থেকেই জানা গেল, দুজনের জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৫ অক্টোবর। যমজ হলেও ওঁরা দুজন আসলে ফ্র্যাটারনাল ট্যুইন। অর্থাৎ দুটি আলাদা ডিম্বাণু থেকে জন্ম ওঁদের। এর মধ্যে মিশি কিকুচি একটি বিশেষ ধরনের রোগে আক্রান্ত। নাম, congenital spinal epiphyseal dysplasia। এটি একটি হাড়ের রোগ যার ফলে যার ফলে বাড়বৃদ্ধি ধাক্কা খায়। যেটা মিশির ক্ষেত্রে হয়েছে। আপাতত তিনি বাবা-মার সঙ্গেই থাকেন। ইয়োশির অবশ্য় আলাদা পরিবার রয়েছে। তিনি নিজেও এখন জননী।    


প্রতিক্রিয়া...
এভাবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠার পর মিশির প্রতিক্রিয়া, '২০১২ সালে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যক্তির কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। একজন তাঁর উচ্চতা কম হওয়া সত্ত্বেও সেটি তুলে ধরতে কুণ্ঠিত নন। আর আমি আমার অবস্থা নিয়ে এত লজ্জিত?' আপাতত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জ্বলজ্বল করছে দুই বোনের ছবি। পাশে মায়ের কোলে একেবারে জন্মাবস্থায়ও দুজনের ছবি রয়েছে। ছবি অনেক কথা বলে। তবে ছোটবেলায় দুই বোনের ছবি আর এখন তাঁদের দেখে বোঝার উপায় নেই দুজনের মধ্যে 'দূরত্ব' কতটা।


আরও পড়ুন:'আমাকে আক্রমণ করা মানেই কেন্দ্রকে আক্রমণ', সুর চড়়ালেন নিশীথ