নয়া দিল্লি: বিয়ে বলে কথা! একটি শুভ অনুষ্ঠান। সেখানে 'অশালীনতাকে' প্রশয় দিতে নারাজ ছিলেন পাত্রী। বিয়ের মঞ্চে বসেই তাই বিয়ে ভাঙলেন কনে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। 


ঘটনাটি ঘটেছে অসমে। পাত্রের নাম প্রসেনজিৎ হালোই। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাত্র যখন বিয়ের মন্ডপে ঢুকছেন সেই সময়ই তিনি একেবারে মাতাল। চোখ খুলতেই পারছেন না এমন অবস্থা। অসমের নলবাড়ি জেলার গ্রামে এই ঘটনা এখন সকলের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। ভিডিওতে এও দেখা যায়, বিয়ের রাতে যখন মঞ্চে প্রবেশ করছেন প্রসেনজিৎ। তখন তিনি রীতিমতো টলোমলো। 


কোনমতে বিয়ের আসরে বসলেও মন্ত্রোপাঠের সময় পারলে শুয়েই পড়েন, এমনই অবস্থা! ভিডিওতে বরের পিছনে এক ব্যক্তিকেও দেখা যায়, যিনি হতে পারে পাত্রপক্ষের কেউ। বরকে কোনওমতে ধরে বেধে বসিয়ে রেখেছেন তিনি।                                     


তবে শুধু পাত্র একা নন, পাত্রের বাবাও বিয়ের আসরে প্রবেশ করেন মাতাল হয়েই, এমনটাই অভিযোগ। আর এই সব কার্যকলাপ দেখেই বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন কনে। পাত্রীর এই সিদ্ধান্তর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন স্থানীয় মানুষ এবং পঞ্চায়েত প্রধান। কনেপক্ষের এক আত্মীয় বলেন, 'শুধু পাত্র নন, পাত্রের বাবাও মাতাল হয়ে এসেছিলেন। আমরা তো গাড়ি থেকেই বের করতে পারছিলাম না। এই সব দেখে পাত্রী নিজেই এই বিয়ে ভাঙতে চেয়েছেন। আমরা গ্রামের প্রধানকে জানিয়েছি গোটা বিষয়টি। সকলেই একমত।'                                                                                                        


আরও পড়ুন, মস্তিষ্কে টিউমার, চোখে ক্ষীণ দৃষ্টি, জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে করতেই উচ্চমাধ্যমিকে বসলেন শাহিনা


এদিকে বিয়ে ভাঙার খবর কানে যেতেই ট্রমায় চলে যান কনের বাবা। এরপর কীভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন তা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন। শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হতে শুরু করলে দ্রুত তাঁকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। নলবাড়ি সর্দার পুলিশ স্টেশনে বরপক্ষের নামে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।