Tips for Better Sleep: শুধু ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন, তাতেই ঘুম হবে ঘড়ি ধরে
মাসে একবার বা সপ্তাহে একবার নয়, অনিদ্রা আজকাল নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ঘুমেই গোটা দিন কাটাতে হয়, কখনও আবার রাতভর ঘুমই হয় না।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপর্যাপ্ত ঘুম না হলে, কোনও কাজই ঠিক মতো করা যায় না। মেজাজও বিগড়ে থাকে সারা ক্ষণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
অনিদ্রার এই সমস্যার জন্য মূলত জীবনযাপনের ধরনকে দায়ী করা হয়। এই সমস্যা দূর করাও সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তার জন্য বিশেষ কিছু টিপস দিচ্ছেন তাঁরা।
ডায়েরি লেখার অভ্যাস কমবেশি আমাদের সকলেরই রয়েছে। তেমনই ঘুমেরও আলাদা ডায়েরি থাকা উচিত। উৎকণ্ঠাই হোক বা দুশ্চিন্তা, তার জন্য ঠিক কত ক্ষণ জেগে থাকছেন রাতে, তা লিখে রাখতে শুরু করুন। রাতে কত বার ঘুম ভাঙছে, লিখে রাখুন তা-ও।
এতে ঘুমের সময়সূচি এবং সময়সীমা সম্পর্কে সম্যক ধারণা জন্মাবে। তাতে শরীর এবং মনও সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিতে শুরু করবে। ওই সময়েই যেটুকু ঘুমাবেন, একেবারে অঘোরে ঘুমাতে পারবেন।
এক রাতও ঘুম না হলে, অনিদ্রার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার হতে পারে, কখনও শোওয়া মাত্রই ঘুমিয়ে পড়লেন। যে অবস্থায় শুয়েছিলেন, সেই অবস্থাতেই হয়ত ঘুম ভাঙল। কিন্তু এটাকে মোটেই লক্ষ্য বানিয়ে ফেলবেন না। যখনই বাড়ি ফিরুন না কেন, এদিক ওদিক সময় নষ্ট না করে সোজা বিছানায় উঠে পড়ুন।
ঘুম কখন আসবে, তা হয়ত হাতে থাকে না আমাদের। কিন্তু কখন উঠবেন, তা ঠিক করে রাখা যেতে পারে। সেই মতো ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। প্রত্যেক দিন একই সময় ঘুম থেকে উঠলে, সেই অনুযায়ী শরীরও মানিয়ে নিতে পারে।
মোবাইল ফোন ঘাঁটার চেয়ে পছন্দের কোনও টিভি সিরিয়াল চালিয়ে নিতে পারেন। অথবা চালিয়ে নিতে পারেন কোনও পডকাস্টও। হালকা সুরের কোনও গানও চলতে পারে। এতে তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।
ঘুমের জন্য নিজেকেই লড়তে হবে আপনাকে। সারাদিনের পর যন্ত্রকেও রেহাই দিতে হয়। তেমনি শরীরকেও ছেড়ে দিতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে যত কাজই থাকুক না কেন।
আমাদের শরীর সেভাবেই গঠিত। জোর করে জেগে থাকলে, জেগেই থাকতে হবে। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে কোনও চিন্তাই মাথায় আনবেন না। চিন্তার যথেষ্ট কারণ থাকলেও, ভেবে নিন, সকালে উঠে দেখবেন। জোর খাটাতে হবে নিজের উপরই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -