কলকাতা: ২০২৩ সালের ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর দুই দিনেই নির্দিষ্ট সময়ে ভাইফোঁটা দেওয়া যাবে। এই দিনে ভাই ও বোনদের কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত? ভাইফোঁটার দিন বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এই শুভদিনে ভাই ও বোনকে বেশকিছু দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
কোন কোন দিকে খেয়াল?
ভাইফোঁটার দিন, টিকা বা ফোঁটা দেওয়ার সময় শুভ সময় বিচার করা উচিত। যে কোনও সময় ফোঁটা দেওয়া যাবে না।
এই দিনটি ভাই ও বোন উভয়েরই কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়। এটি একটি শুভ দিন, এই দিনে কালো রঙের পোশাক এড়ানো প্রয়োজন।
ভাইফোঁটার দিন, বোনেরা তাঁদের ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে স্নান করবেন এবং উপবাস করবেন। এমনটাই নিয়ম।
ভাইফোঁটা অত্যন্ত পবিত্র দিন। ভাই ও বোনের পবিত্র সম্পর্কের প্রতিফলন এই দিনটি। এই দিনে, ভাই এবং বোনকে একে অপরের প্রতি মিথ্যা বলা উচিত নয়।
এই দিনে নিরামিষ খাওয়া উচিত। মাংসা খাওয়া উচিত নয়। মাংস খেলে যমের ক্রোধের কোপে পড়তে হতে পারে বলে বিশ্বাস।
এই বছর কখন ভাইফোঁটা?
২০২৩ সালে, ভাইফোঁটা উৎসব ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার এবং বুধবার ধরে পালিত হবে। ২০২৩ সালে, ভাইফোঁটার সময় ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টা বেজে ৩৬ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ১৫ নভেম্বর দুপুর ১টা বেজে ৪৭ মিনিট পর্যন্ত চলবে। সাধারণত ভাইফোঁটা উৎসব দীপাবলি বা কালীপুজোর দ্বিতীয় দিনে পড়ে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।
এই উৎসব ঘিরে নানা লোককথা চালু রয়েছে। ভাইফোঁটা উৎসব উদযাপন সম্পর্কে চালু ওই লোককথাটি হল, কার্তিকে শুক্লা দ্বিতীয়া তিথির দিন যমুনা তাঁর ভাই যমরাজকে বাড়িতে ডেকেছিলেন এবং ফোঁটা দিয়ে খাবার পরিবেশন করেছিলেন। তাই এটি যম দ্বিতীয়া নামেও পরিচিত।
সারা ভারতে এক এক অঞ্চলে এক এক রকম ভাবে ভাইফোঁটা পালিত হয়
পশ্চিমবঙ্গ: পশ্চিমবঙ্গে, এই উৎসবটি কার্তিক শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা নামে পালিত হয়।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রে এই উৎসব 'ভাউ বীজ' নামে পরিচিত।
উত্তরপ্রদেশ: এখানে এটি ভাইদুঁজ নামে পরিচিত। বোনেরা তাঁদের ভাইদের কপালে তিলক লাগান এবং মিষ্টি খাওয়ান।
বিহার: বিহারে ভাই দুজ গোধন নামেও পরিচিত। এখানে উদযাপনের ঐতিহ্য সম্পূর্ণ আলাদা। এই দিনে বোনেরা ভাইদের বকাঝকা করে, খারাপ কথা বলে। এরপর বোনেরা ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চান। তারপর বোন তাঁর ভাইকে তিলক দেয় এবং মিষ্টি খাওয়ায়।
আরও পড়ুন: এক গ্রামে একশোরও বেশি কালী পুজো ! নামই হয়ে গেল কালীগ্রাম