কলকাতা : শাস্ত্রমতে বলা হয়, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামার পর পরই অশরীরী প্রেতাত্মারা বের হয়ে আসেন। আর তাদের হাত থেকে নিস্তার পেতে সন্ধ্যায় পর গৃহস্থের বাড়িতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম। ভূত চতুর্দশী বাঙালির উৎসব । এমন ভাবে ১৪ শাক, ১৪ ফোঁটা, ১৪ প্রদীপের প্রচলন অন্য অবাঙালিদের মধ্যে নেই। শাস্ত্র, লোককথা, পরম্পরার বাইরে গিয়েও ১৪ শাক খাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। সময়টা ঋতু পরিবর্তনের। রোগ বালাইয়ের প্রকোপ বাড়ে হু হু করে। তাই ১৪ শাকের মাধ্যমে সবুজ শাকের গুণাগুণ শরীরে প্রবেশ করানোটাও উদ্দেশ্য এই রীতির। অত্যন্ত কম খরচেই এই শাকগুলি কিনতে পাওয়া যায়।
- কী কী শাক থাকে চোদ্দ শাকে
- ওল
- ভাটপাতা
- কেঁউ
- শৌলফ
- শাঞ্চে
- কালকাসুন্দে
- পলতা
- বেতো
- সরষে
- নিম
- গুলঞ্চ
- শুষণী
- হিলঞ্চ বা হিঞ্চে
- জয়ন্তী
অনেকেই ভাবেন কীভাবে রাঁধবেন ১৪ শাক ? - কড়াইতে তেল নিন শাকের অনুপাতে
- কালোজিরে , শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন
- শাক গরম জলে ধুয়ে রাখুন
- তেল গরম হলে কড়ায় দিন
- নাড়াচাড়া করুন
- হালকা ভাজা-ভাজা হলে নুন ছড়িয়ে দিন
- কাঁচা লঙ্কা চিরেও দিতে পারেন।
- আলাদা করে বড়ি বা বাদাম ভেজে দিতে পারেন।
- খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে সামান্য জল দিয়ে ভাপাতে দিন।
- শাক নরম হলে পোস্ত ছড়িয়ে আবার নাড়াচাড়া করুন।
- সামান্য ঘি ছড়িয়ে নিতে পারেন।
- নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ।
১৪ শাক কেন খাবেন - শাক এমন একটি জিনিস, যা সব জায়গায় জন্মায়। দামও কম। ১৪ শাকের অনেক গুণ। ১৪ শাক খেলে মনে করা হয় ১৪ লোকের সব জীবরা শাকে-ভাতে থাকতে পারে। শাক ও ভাত এমন একটা জিনিস, যা খুব সাধারণ জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন। দ্রৌপদীর কাছে একবার শ্রীকৃষ্ণ এসে বলেন খিদে পেয়েছে। তখন পাণ্ডব গৃহিণীর ভাঁড়াড়ে আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না। ছিল শুধু শাক আর ভাত। তাই খেয়েই পরম তৃপ্তিতে ঢেকুড় তোলেন শ্রীকৃষ্ণ।
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন :
ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে ভূত-প্রেতের আদৌ সম্পর্ক আছে ? ১৪ শাকের ভাবনাই বা কোথা থেকে? জানালেন বিশেষজ্ঞ