কলকাতা: শ্রীকৃষ্ণের অনবদ্য অবদান শ্রীমদ্ভগবত গীতা। বর্তমান কালে এই আত্মতত্বের উপদেশ শ্রীকৃষ্ণ নিজে যোগস্খ হয়ে অর্জুনকে দান করেছিলেন। গীতার জ্ঞানে শ্রীকৃষ্ণ কৃপা করে দিচ্ছেন জগৎ-জ্ঞান।এই জ্ঞানের ভিত্তি কিন্তু বিশ্বরুপ-দর্শন, যেন সাধক বিশ্বচেতনায় প্রতিষ্ঠিত।
গীতাশাস্ত্রমিদং পুণ্যং যঃ পঠেৎ প্রযতঃ পুমান্ ।
বিষ্ণোঃ পদমবাপ্নোতি ভয়শোকাদিবর্জিতঃ।।
শ্রী শঙ্করাচার্য প্রণীত গীতা-মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে- অতি সহজেই সমস্ত ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এই জীবনে ভয় ও শোকাদি বর্জিত হয়ে পরবর্তী চিন্ময় স্বরূপ অর্জন করা যায় যদি সর্বদা সুচিন্তা করা যায় জীবনে।
গীতা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে-
সংসরসাগরং ঘোরং ত্যক্তুমিচ্ছতি যো নরঃ।
গীতানাবং সমাসাদ্য পারং যাতি সুখেন সঃ।
জীবনে শোক-তাপ কাটিয়ে ওঠার জন্য বলা হয়েছে-
যস্যান্তঃ করণং নিত্যং গীতায়াং রমতে সদা।
স সাগ্নিকঃ সদা জাপী ক্রিয়াবান্ স চ পন্ডিতঃ।
দর্শনীয়ঃ স ধনবান্ স যোগী জ্ঞানবান অপি।
স এব যাজ্ঞিকো যাজী সর্ববেদার্থদর্শকঃ।।
অর্থাৎ- যাঁর অন্তকরণ সদা সর্বদা গীতাতেই নিবিষ্ট, তিনিই প্রকৃষ্ট সাগ্নিক, সর্বদা জপী, ক্রিয়াবান, এবং তিনিই প্রকৃত পন্ডিত। তিনিই দর্শনীয়, তিনিই ধনবান, তিনিই যোগী বা প্রকৃত জ্ঞানবান এবং তিনিই যাজ্ঞিক, যাজনকারী এবং তিনিই সর্ব বেদার্থ দর্শক।
আরও পড়ুন, অহংকার ত্যাগ করে নিজের কর্ম করাই মানুষের কর্তব্য, গীতায় সাফল্যর পথে দেখিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ