অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: চৈত্র মাসের শেষদিনে তিন দিনের গাজন উৎসবের (Gajan) পরিসমাপ্তি হয় চড়ক পুজোর (Chark Puja) মধ্যে দিয়ে। ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় চড়ক মেলার যেখানে সন্ন্যাস রাখা শিব ভক্তরা বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ ও নাচের মাধ্যমে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করেন তাঁদের আরাধ্য দেবতা দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গার মতো মালদা শহরেও (Malda twon) প্রতিবছর গাজন উৎসবের শেষদিনে আয়োজন করা হয় চড়ক পুজোর। আর সেখানে অভিনব হাজরা নৃত্যের মাধ্যমে মেলায় আসা মানুষদের মনোরঞ্জন করেন সন্ন্যাস গ্রহণ করা শিবের উপাসক ও ভক্তরা। শনিবার সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি হতে দেখা গেল মালদা শহরে।
গোটা চৈত্র মাস ধরে কঠোর নিয়ম পালন করে চড়ক পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন দেবদেবীর সাজে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করেন গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া শিল্পীরা। চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় চড়ক উৎসব। এক মাস নিরামিষ ভোজন করে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে সংযম পালন করেন শিব ভক্তরা। আর চৈত্র মাসের শেষ দিন শনিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে চড়ক উৎসব। সেখানে পিঠে বড়শি গেঁথে গাজন সন্ন্যাসীরা চরক গাছে ঘুরবেন।
তারই প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার সকালে মালদা শহরের দুই নম্বর গভরমেন্ট কলোনি ময়দানে শতাধিক গাজন শিল্পী উপস্থিত হয়েছিলেন। সারারাত ধরে তাঁরা শ্মশান সহ বিভিন্ন এলাকায় শিবের উপাসনা করেন। আর শনিবার সকালে কেউ শিব,কেউ কালি,কেউ দুর্গা,আবার কেউ ভূত সেজে হাতে রকমারি অস্ত্র ও মানুষের মাথার খুলি নিয়ে হাজরা নৃত্যে (Hazra dance) অংশগ্রহণ করেন। নৃত্য করে সারা শহর পরিক্রমা করেন গাজন সন্ন্যাসীরা। আজ সকালে গাজন শিল্পীদের সেই শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুই ধারে ভিড় জমিয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সারাদিন ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির পর সন্ধ্যাবেলা ঘোরানো হবে চড়ক।
আরও পড়ুন: Poila Boisakh 2024: পয়লা বৈশাখের আগে চৈত্রেই ঘর সাফ করা জরুরি, কী কী না করলেই নয় ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।