কলকাতা : 'আমার ছেলে কাঁদলে আমাকেই তো ধুলোকাদা ঝেড়ে কোলে তুলে নিতে হবে।' বলেছিলেন মা সারদা। তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ-জায়া। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘজননী। কিন্তু তিনি মা, সকলের মা।  ‘সতেরও মা, অসতেরও মা’। আজ থেকে এতগুলো বছর আগে, যখন সমাজ আরও ভেদভাবে ক্লিষ্ট তখন তিনি স্বামী সারদানন্দ, স্বামী বিবেকানন্দকেও যেমন নিজের ছেলের আদর দিয়েছেন, তেমন মায়ের আশিসটুকু থেকে বঞ্চিত করেননি ডাকাত ছেলে আমজাদকে। তবে 'ধুলোকাদা ঝেড়ে'। তাই তাঁর বলা কথটুকু সার্থক - “মনে ভাববে, আর কেউ না থাক, আমার একজন মা আছেন।” 



বুধবার, ১৭ পৌষ, ৩ জানুয়ারি এবার শ্রী মা সারদার ১৭১ তম জন্মতিথি। কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে মায়ের জন্ম। এই পুণ্য তিথিতেই জয়রামবাটিতে শ্যামাসুন্দরী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীশ্রী সারদাদেবী৷ ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব তাঁর সারা জীবনের সাধনার ফল অর্পণ করেছিলেন সারদাদেবীকে৷ আর স্বামীজি তাঁকে দিয়েছিলেন সঙ্ঘ জননীর স্থান। ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর , বাংলায় ১২৬০ সনের ৮ পৌষ। তবে তিথি দরতে গেলে তা আজই। আর এই উপলক্ষ্যে বেলুড় মঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় আজ পালন করা হচ্ছে মায়ের ১৭১ তম জন্মতিথি উৎসব। বাগবাজার মায়ের বাড়ি থেকে বেলুড়মঠ, সর্বত্রই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। 


বাগবাজার মায়ের বাড়ি থেকে বেলুড়মঠ সর্বত্রই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ভোরবেলা বেলুড়ে শ্রী রামকৃ্ষ্ণের মন্দিরে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বেলুড় মঠে । এরপর একে একে স্তব গান, বেদ পাঠ, ভজন, বিশেষ পুজো ও হোমের সূচি রয়েছে। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন বেলুড় মঠ, সারদা মঠ, বাগবাজারে মায়ের বাড়িতে।  সন্ধ্যারতি দিয়ে শেষ হবে সারদা মায়ের জন্মতিথি উৎসব। বাগবাজারে মায়ের বাড়িতেও সারাদিন ধরে চলবে বিশেষ পুজো। দুপুরে হোমের আয়োজন করা হয়েছে।  


বেলুড় মঠে মায়ের বিশেষপুজো দেখতে যাঁরা ইচ্ছুক, তাঁরা মায়ের পুজোর সাক্ষী হতে পারেন বাড়ি থেকে। সকাল ৮ টা থেকে ব্যবস্থা রয়েছে ইউটিউব স্ট্রিমিংয়ের। 



এক নজরে দেখে নিন আজ মায়ের পুজোয় বেলুড় মঠে কখন কী অনুষ্ঠান  ( বেলুড় মঠের ওয়েবসাইট থেকে ) 


 


আরও পড়ুন :                                                      


 'স্নেহের খুকি....তোমার মাতা ঠাকুরানী'