বড়ঠাকুরের আশীর্বাদে সহজ হয়ে যায় অনেক কঠিন পথ। তাই শ্রী শনিদেবের শরণে থাকতে চান ভক্তরা। সুসঙ্কল্প সহকারে ভক্তিভরে প্রতি শনিবার ভগবান শ্রী শনিদেবের পূজার্চনা করে থাকেন। বিশ্বাস, দুঃখ, কলহ, ব্যর্থতা কাটিয়ে সাফল্যের রাস্তায় এগিয়ে দিতে সাহায্য করেন ভগবান শনিদেব।
কীভাবে প্রসন্ন করবেন শনিদেবকে ? ভক্তরা বিশ্বাস করেন, নানা উপায় বড়ঠাকুরকে প্রসন্ন করা যায়
প্রত্যেক শুক্রবার রাতে কালো মুগ জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। শনিবার ওই ভেজানো মুগ, জ্বলন্ত কয়লা, হলুদ আর লোহার টুকরো একসঙ্গে কালো কাপড়ে বেঁধে জলে ভাসিয়ে দিলে শনিদেবের রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস।
ঘোড়ার নাল থেকে তৈরি আংটি শুক্রবার সারারাত কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রেখে শনিবার সকালে বাঁ হাতের মধ্যমায় ধারণ করলে বড়ঠাকুর প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস।
শনিদেবের সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পেতে শনিবার অশ্বত্থ গাছে ৭ বার সুতো বাঁধতে বাঁধতে শনিমন্ত্র জপ করতে হবে। পরে অশ্বত্থ গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে। ব্রত করছেন এমন ব্যক্তির দিনে একবার নুন ছাড়া খাবার গ্রহণ করা উচিত।
কালো রঙের গরুর পুজো করে সেবা করলে শনিদেব প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস। এতে সাড়ে সাতির প্রভাবও কেটে যায়।
সর্ষের তেল শনিদেবের পছন্দের। শনিবার অশ্বত্থ গাছথের নিচে সর্ষের তেল প্রদান শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া সূর্যোদয়ের আগে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে শনিদেবের কৃপা বর্ষিত হয় বলে বিশ্বাস।
হাতের মাপে ১৯ গুণ বড় কালো সুতো দিয়ে মালা তৈরি করে শনিবার তা ধারণ করলে শনিদেব প্রসন্ন হয়ে আশীর্বাদ করেন বলে বিশ্বাস। সাড়ে সাতির প্রভাব থেকেও চটজলদি মুক্তি মেলে।
এছাড়া প্রতি শনিবার আটাচাকির আটা দিয়ে তৈরি দুটো রুটি গরুকে খাওয়ালে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। এছাড়াও প্রতি শনিবার শনিদেবের পুজো করে, তাঁর মূর্তির কাছে সর্ষের তেল প্রদান করলে তিনি প্রসন্ন হন বলে বিশ্বাস।
আরও পড়ুন : ৯ দিন পরেই সেই মুহূর্ত, ৪ রাশিকে 'রাজা' করবেন শনি, ভরিয়ে দেবেন অর্থ-যশে
ডিসক্লেমার : ধর্মীয় বিশ্বাস নিজস্ব। এ ব্যাপারে কোনও মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ ধর্ম সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।