কলকাতা : সূর্যের পুত্র শনিদেব। তাঁকে কর্মের ফলদাতা বলা হয়। কারণ, শনিদেব মানুষকে তাঁদের কাজ অনুযায়ী ফল দেন। শনিদেব মহারাজ স্বভাব অনুযায়ী রূঢ় প্রকৃতির। ন্যায়বিচার তাঁর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। শনিদেবের সামনে ঝোঁকেন বড় বড় দেবতারা। কিন্তু, সত্যযুগে শনিদেব মহারাজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এমন কেউ-ও ছিলেন। অযোধ্যার রাজা, ভগবান শ্রী রামের পিতা দশরথ, শনিদেবের সঙ্গে টক্কর শুরু করে দেন এবং তাঁকে হাতজোড় করতে বাধ্য করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরো ঘটনা...


শনিদেবের সঙ্গে কীভাবে সাক্ষাৎ রাজা দশরথের ?


সত্যযুগে রাজা দশরথের রাজ্য খুব ভালভাবে চলছিল। সবাই খুশি, একদিন রাজজ্যোতিষী তাঁকে একটি আশ্চর্যজনক খবর দেন। খবর ছিল, শনি কৃত্তিকা নক্ষত্রের শেষ পর্বে ছিলেন এবং তিনি শীঘ্রই রোহিণী নক্ষত্রে প্রবেশ করবেন। রোহিণী নক্ষত্রে শনির গতিকে রোহিণী-শক্তি-ভেদন বলা হয় এবং যদি তা কখনও হয়, তবে এর অর্থ দেশে খরা ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়বে।


রাজা দশরথ সকল ঋষিকে দরবারে ডেকে তাঁদের মতামত জানতে চান। রাজা দশরথের মন্ত্রীরা বলেন যে, দেবরাজ ইন্দ্র বা স্বয়ং ব্রহ্মা কেউই এতে সাহায্য করতে পারবেন না। এদিকে রাজা দশরথের কাছে তাঁর প্রজারা ছিলেন শিশুদের মত। তাই তিনি নিজেই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সমস্ত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তিনি তাঁর রথকে আকাশের দিকে নিয়ে যান। দশরথ রোহিণী নক্ষত্রের সামনে দাঁড়ান এবং শনি রোহিণীতে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি (দশরথ) তাঁর ধনুক নিবেদন করেন।


আরও পড়ুন ; সাড়ে সাতি চললেও এই রাশির জাতকদের কষ্ট দেন না শনিদেব !


শনি মহারাজ তাঁর সামনে এক মানুষকে নির্বিঘ্নে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খুব মুগ্ধ হন। দশরথের এই প্রজাবৎসল স্বভাব তাঁর খুব পছন্দ হয়েছিল। দশরথ শনির কাছে বর চান। বর হিসেবে দশরথ তাঁকে রোহিণী ছিদ্র বন্ধ করতে বলেন। এই কথা শুনে শনি খুশি হয়ে তাঁকে আরও একটি বর চাইতে বললেন। দশরথ তাঁর রাজ্যে ১২ বছরের জন্য ভাল ফসল এবং দুর্ভিক্ষ না হওয়ার বর চান। শনিদেব খুব খুশি হয়ে তাঁকে এই দু'টি বর দেন।


আরও পড়ুন ; এই তিনরাশিকে কখনই বিরক্ত করে না শনিদেব, নিয়ম মেনে চললে ঘটে প্রাপ্তিযোগও


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial