কলকাতা : মহাদেব মহাশক্তির প্রতিরূপ। সেই সঙ্গে অপার সহ্য শক্তি শিবের। তিনি আদিদেব। কিন্তু তিনি ভক্ত বৎসল। তাঁর আশীর্বাদ পেতে খুব কষ্ট করতে হয় না। একটু মানসিক শুদ্ধতা থাকলেই হল। নীলকণ্ঠ সন্তুষ্ট হল বেশ অল্পে। তাঁকে পুজো করতে লাগে বেল পাতায়।
- বিশ্বাস করা হয়, সমুদ্র মন্থনের সময় যে গরল উঠেছিল, তা গ্রহণ করেছিলেন মহাদেব। ঈশ্বরের সৃষ্টিকে বিষ থেকে বাঁচাতে তা নিজের কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মহাদেব। তাই তিনি নীলকণ্ঠ। অপরাজিতা ফুলের রং ঠিক সেই কণ্ঠের নীলের মতোই। তাই শিবপুজোয় ব্যবহার করা উচিত অপরাজিতা ।
- এছাড়া শিবের আরেক প্রিয় ফুল হল সুগন্ধী চাঁপা। চাঁপা ফুল শিবের পায়ে উত্সর্গ করা হয়।
- জুঁই ফুলের অপূর্ব মিষ্টি সুবাসও মহাদেবকে উত্সর্গ করা যায়।
- কল্কে ফুলও মহাদেবের প্রিয়।
- এছাড়া আকন্দ ফুলে পুজো করতে পারেন শিবকে। আকন্দর ফল ও ফুল - দুইই শিব পুজোয় লাগে।
- শিবের আরেক প্রিয় ফুল বেলগাছের ফুল। যে বেলপাতা শিবপুজোয় ব্যবহার হয়, সেই গাছের ফুলই মহাদেবের অর্চনায় কাজে লাগে। এই বেলফুল কিন্তু গরম কালের সুগন্ধী বেল নয়। আমরা যে বেল ফল খেয়ে থাকি, সেই গাছের ফুল মহাদেবের পুজোর কাজে লাগে।
এছাড়াও শিবপুজোর সময় মনে রাখুন - - এক গ্লাস জল খেয়েও তিনি খুশি হন। সকালে স্নান করে শিব মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
- শিবলিঙ্গে জাফরান অর্পণ করলে মানুষ সুখ শান্তি পায়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
- ভোলেনাথও সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে মানুষের মনে বিশ্বাস।বিশ্বাস করা হয় যে শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ ও শুদ্ধ হয়। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মানুষের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
- দই এবং ঘিও ভগবান শিবের খুব প্রিয়। এগুলো নিবেদন করলে জীবনে আসা ঝামেলা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশ্বাস এই ভাবে পুজো করলে জনমনে ভক্তের মান মর্যাদাও বাড়ে।
- চন্দন নিবেদন করেও ভোলেনাথ প্রসন্ন হন। শিবলিঙ্গে চন্দন অর্পণ করলে মানুষ সমাজে সম্মান ও খ্যাতি পায়।
- শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদনকারী ভক্তদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।
- যাঁরা তাদের বিবাহিত জীবন বা প্রেম জীবনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের উচিত সোমবার শিব মন্দিরে গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষ অর্পণ করা। এতে করে দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দূর হয়।