নয়া দিল্লি: মলমাস বা অধিকারমাসকে পুরুষোত্তম মাস বলা হয় কারণ এই মাসটি ভগবান বিষ্ণুকে (Lord Vishnu) উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মাসের প্রধান দেবতা হলেন ভগবান বিষ্ণু এবং পুরুষোত্তম তাঁর একটি নাম। পুরুষোত্তম মাসে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে জীবনে অপার সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। প্রতি তিন বছর পর পর পুরুষোত্তম মাস পড়ে। ২০২৩ সালে, মলমাস শাওন মাসের (হিন্দু ক্যালন্ডার মতে) (Hindu Calendar) সঙ্গে পড়ছে। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে শ্রাবণ মাসও মলমাস।
মলমাসে মঙ্গল ও শুভকাজ হয় না, এই মাসে শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজ করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা উচিত। এছাড়াও মলমাসে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়। নইলে এই ভুলগুলো অনেক ক্ষতি করে।
মলমাসে মধু, আমড়া, সরষে, পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, গাজর, মুলা, উরদ ডাল খাওয়া উচিত নয়। এতে করে স্বাস্থ্যও খারাপ হয় বলে মনে করা হয়। মলমাসে পূজা-পাঠ, জপ-তপস্যায় নিবেদিত থাকতে বলা হয়। খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। এ মাসে ভুল করেও কারও সম্পর্কে খারাপ ভাববেন না।
মলমাসে শুভ কাজ করবেন না। যেমন, মুণ্ডন, বিয়ে, গৃহস্থালি, নতুন বাড়ি কেনা, মলমাসে নামকরণ করবেন না। তুলসী পূজা করতে হবে, তুলসী পূজা ছাড়া ভগবান বিষ্ণুর পূজা সম্পূর্ণ হয় না। তাই অবশ্যই মলমাসে তুলসী গাছের পুজো করুন এবং এতে কোনও ভুল করবেন না।
মলমাসে রসুন, পেঁয়াজ, মাংস, মাছ, অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস সেবন করবেন না এবং ঘরে আনবেন না। মলমাসে বেশিক্ষণ ঘুমানো উচিত নয়, বরং সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পূজা করা উচিত। গরীব ও অভাবীদের খাদ্য, কলা, হলুদ কাপড়, বই, নারকেল দান করুন। মলমাসে প্রদীপ দান করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন, 'ভাঙতে সবাই পারে গড়তে পারে ক'জনে?' সারদা মায়ের তিরোধান দিবসে সঙ্গী হোক মায়ের বাণীই
ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।