কলকাতা: ঘুমের দেশ থেকে জেগে ওঠার সময় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও চন্দ্রযান-৩-এর 'ল্যান্ডার' বিক্রম (Lander Vikram) এবং 'রোভার' প্রজ্ঞানের (Rover Pragyan) থেকে কোনও সঙ্কেত পাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা (ISRO)। শুক্রবার তাঁরা জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা ল্যান্ডার ও রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ ফের স্থাপন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

  


কোথায় সমস্যা?
রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফুটেছে চাঁদে। আর সেই সঙ্গে জেগে ওঠার কথা চন্দ্রযান-৩-এর 'ল্যান্ডার' এবং 'রোভার'-এর। এমন অবস্থায় তাদের থেকে কোনও সিগন্যাল না মেলার খবর কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে হাল ছাড়ার পাত্র নন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, 'ল্যান্ডার' বিক্রম এবং 'রোভার' প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। বিষয়টির উপর যে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের দ্বিতীয় দফার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করছে, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কে শিবন। তাঁর কথায়, 'জেগে ওঠার ডাকে ওরা সাড়া দেয় কিনা, এই পর্যায়ের সাফল্যের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।' চন্দ্রপৃষ্ঠে দিন শুরু হলে, ল্যান্ডার ও রোভার দ্বিতীয় দফার গবেষণার কাজ করবে। এখন তাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাখির চোখ, তাদের পাঠানো সিগন্যালের দিকে। 






ফিরে দেখা...
গত ২৩ অগাস্ট, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে সফটল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান-৩। ইসরোর এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানায় বিশ্বের তাবড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তার পর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাঁদের মাটিতে কাজ করে গিয়েছে  বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। হিসেব মতো, এর পর থেকেই চাঁদের রাত শুরু হওয়ার কথা। প্রতিকূল পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ওই মেয়াদের জন্য ল্যান্ডার ও রোভারকে 'ঘুম পাড়িয়ে' বা 'নিষ্ক্রিয়' করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ই এগোন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। ২ সেপ্টেম্বর 'রোভার' এবং ৪ সেপ্টেম্বর 'ল্যান্ডার'-কে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চাঁদের রাত চলাকালীন প্রায় -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকে। এই তাপমাত্রায় থাকার পর বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠাটা যে একটা চ্যালেঞ্জ, সেটা অজানা নয়। জেগে ওঠার পর আগামী ১৪ দিন ধরে চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে রোভার। সব ঠিকঠাক চললে এমনই হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও সিগন্যাল আসেনি। তবে চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন:কোথা থেকে কত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা মণিপুর সরকারের