কলকাতা: প্লাস্টিক দূষণের একটি বড় কারণ। সবভাবেই এটি পরিবেশকে দূষিত করে। এই প্লাস্টিককে কীভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যায়, সেদিকেই নজর বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি সেই চেষ্টায় বড় সাফল্য পেলেন গবেষকরা। কাপড় কাচার ডিটারজেন্টেই খুঁজে পেলেন এর উত্তর। সেল রিপোর্টস ফিজিকাল সায়েন্স জার্নালে তা প্রকাশিত হয়েছে।
২৪ ঘন্টার কামাল !
একটি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করার পর অনেকেই ফেলে দেন। সেই দূষণ ঠেকাতে তা দিয়ে নতুন করে ব্যবহার করা যায় এমন জিনিস তৈরি করা হয়। লন্ড্রির ডিটারজেন্টে থাকা বিশেষ উপাদান ওই প্লাস্টিককে পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য করে তোলে। আর এর জন্য সময় লাগে মাত্র ২৪ ঘন্টা। নতুন তৈরি হওয়া ওই প্লাস্টিক দিয়ে কফি কাপ, প্লাস্টিক কাপ বানানো যায়। যা সাধারণত একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিই আমরা। এই পদ্ধতিকে ডিপলিমারাইজ নাম দিয়েছেন গবেষকরা।
৮৪ গুণ জলদি কাজ !
বর্তমানে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে প্লাস্টিক পুনর্নবীকরণ করা হয়। অর্থাৎ পুরনো প্লাস্টিক থেকে নতুন ব্যবহারের যোগ্য প্লাস্টিক তৈরি করা হয়। তবে এই প্রক্রিয়াতে অনেকটাই সময় লাগে। বেশিরভাগ সময় ১২ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। ডিপলিমারাইজ পদ্ধতিটি এর থেকে ৮৪ গুণ বেশি দ্রুত কাজ করে। ৮৪ দিনের কাজ এটি ১ দিনেই করে ফেলতে পারে।
ডিটারজেন্টের এনজাইম !
২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কাজ করতে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় একটি বিশেষ উৎসেচক বা এনজাইম কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেটি ত্বরান্বিত করেছে গোটা পদ্ধতিকে। এই এনজাইম ডিটারজেন্টের মধ্যে প্রায়ই পাওয়া যায়।
বড় সমাধান
বায়োপ্লাস্টিক পলিল্যাকটিক অ্যাসিড দিয়ে এক ধরনের বিশেষ প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি হয়। এই ব্যাগগুলি আমরা একবারের বেশি ব্যবহার করি না। এই ব্যাগগুলি রিসাইকল করা যাবে এই পদ্ধতিতে। ৮৪ দিনের কাজ ২৪ ঘন্টায় হয়ে যাবে। এর ফলে শিল্পক্ষেত্রের জন্য একটি বড় সমাধান পাওয়া গেল।
সমস্যা যদিও আরও বড় !
পিএলএ ব্যাগের রিসাইকল করা গেলেও সবধরনের প্লাস্টিকের উপর এটি কাজ করবে না। তাই সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। অধিকাংশ প্লাস্টিক মাটির দূষণ ঘটায়। পাশাপাশি জলের দূষণও ঘটায়। এই ধরনের প্লাস্টিকের পরিমাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে এই সারা বিশ্ব ৬৮ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করেছে। ২০৬০ সাল নাগাদ এটি তিনগুণ হয়ে যাবে। ফলে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - NASA news: যেন দুরন্ত কতশত ঘূর্ণি! চোখ জুড়োবে গ্যালাক্সি