নয়াদিল্লি: আলো-আঁধারের বৃত্ত নয়,  অর্ধেক অংশে দিন, অর্ধেক অংশে রাত, এমন রূপেই এবার ধরা দিল পৃথিবী। উত্তর গোলার্ধে শরতের আগমন ঘটে গিয়েছে। ক্রমশ দিনের দৈর্ঘ্য ছোট হওয়ার আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর ছিল জলবিষুব। অর্থাৎ দিনরাতের দৈর্ঘ্য সমান ছিল শনিবার। সেই আবহেই সূর্যের অবস্থান যখন নিরক্ষরেখা ঠিক উপরে, সেই সময় ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছে ওই মুহূর্ত।  ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। (Science News)


সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি পোস্ট করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (European Space Agency), তাতে সূক্ষ্ম রেখার দ্বারা পৃথিবী কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে, যার একদিক অন্ধকারে আবৃত, অন্য দিক আলোয় উদ্ভাসিত। আলোর দিকে নীল সমুদ্র, মাটি, সবুজ চোখে পড়ছে সবকিছুই।  শনিবার ওই ছবিটি তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই ছবি।


আলো এবং আঁধারে বিভক্ত পৃথিবীর ওই ছবি পোস্ট করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখে, 'শীত আসছে। আজ পৃথিবীর বুকে দিন-রাতের দৈর্ঘ্য সমান।  উত্তর গোলার্ধে জলবিষুব। আজ সকালে স্যাটেলাইট থেকে তোলা হয়েছে ছবিটি'। এ যাবৎ বইয়ের পাতাতেই জলবিষুবের বৃত্তান্ত পড়ে এসেছি আমরা। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতিতে ভর করে এবার সচক্ষে দেখা গেল। 



আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: নিশিযাপনের পর এখনও সাড়া নেই 'বিক্রম' ও 'প্রজ্ঞানে'র, যথেষ্ট তথ্য মিলেছে কি, খোলসা করল ISRO


বিজ্ঞানীদের মতে, জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী, উত্তর গোলার্ধে শরৎ কাল পড়ে গিয়েছে। দক্ষিণ গোলার্ধে চলছে বসন্ত। ক্রমশ দক্ষিণ দিকে সরে সরে যাচ্ছে সূর্য। এর আগের ছয় মাস সরাসরি উত্তর গোলার্ধ আলোকিত হচ্ছিল সূর্যের আলোয়।  এমনিতে বছর ভর সূর্যের দিকে অথবা বিমুখে নিজের অক্ষে হেলেই থাকে পৃথিবী। তার জেরেই উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের আলো এবং তাপমাত্রার হেরফের হয়।


কিন্তু জলবিষুবের দিন উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্ব অবস্থান করে সূর্য। ফলে মধ্যাহ্ন কালে সূর্যরশ্মি একেবারে সোজা ভাবে, নিরক্ষরেখার উপর পড়ে। তাতেই ওই দিন রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়। কিন্তু পৃথিবীর কোন জায়গায় রয়েছেন তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু। সেই নিরিখে কয়েক মিনিট এদিক ওদিক হতে পারে।