কলকাতা: প্রযুক্তিগত ত্রুটি সারিয়ে অবশেষে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হল। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রথমনে বিপত্তি বাধে। তার জেরে সাময়িক স্থগিত করে দেওয়া হয় উৎক্ষেপণ। শেষ মেশ, শনিবার সকাল ১০টায় উৎক্ষেপণ হয় গগনযান TV-D1 রকেটের। (Gaganyaan Mission) তার পর বঙ্গোপসাগরে সেটি নামিয়ে আনা হয়। 


এদিন, প্রথমে সকাল ৮টা বেজে ৪৫ মিনিটে গগনযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও, তা হয়নি। মাত্র পাঁচ সেকেন্ড বাকি থাকতে শেষ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাউন্টডাউন। উৎক্ষপণের সময় সওয়া এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয় ISRO. তার পর বেলা ১০টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয় গগনযানের টেস্ট ভেহিকল ফ্লাইটের। (ISRO News)


উৎক্ষেপণের পর TV D1 পরীক্ষামূলক উড়ান বিভাগের ডিরেক্টর এস শিবকুমার বলেন, "এমন চেষ্টা আগে হয়নি। একসঙ্গে একেবারে তিনটি পরীক্ষা। তিনটি প্রযুক্তিরই খুঁটিনাটি চোখে পড়েছে, যা আমাদের লক্ষ্য ছিল। টেস্ট ভেহিকল, ক্রু এসকেপ সিস্টেম এবং ক্রু মডিউল, প্রথম চেষ্টাতেই সফল পরীক্ষা হয়েছে সবক'টির। আজকের দিনটির জন্য গত ৩-৪ বছর ধরে পরিশ্রম করছিলাম আমরা। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হতে পেরে খুশি আমরা।"



আগামী দিনে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। তার আগে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ, যাতে আগামী দিনে কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে মহাকাশচারীদের বাঁচাতে ক্রু এসকেপ সিস্টেম  ব্যবহার করা যায়। এদিন তারই পরীক্ষা হবে। পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে মাটি থেকে ১৭ কিলোমিটার উচ্চতায় মূল যান থেকে আলাদা হয়ে যায় ক্রু-মডিউল। তার পর সোজা বঙ্গোপসাগরে নামিয়ে আনা হয়। 


আরও পড়ুন: Kajol Attends Durga Puja: হলুদ শাড়ি, টানটান করে বাঁধা খোঁপা, বাড়ির পুজোয় কাঁসর-ঘণ্টা বাজালেন কাজল



দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযানে চাপিয়ে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে ISRO-র। সেক্ষেত্রে এই প্রথম ভারত নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে 'গগনযান অভিযান'। মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার জন্যই ক্রু এসকেপ সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যার আওতায় মাঝ আকাশে বিপদ ঘটলেও, প্যারাশ্যুটে চেপে নিরাপদে অপতরণ করতে পারবেন পৃথিবীবাসী।



মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মানুষ পাঠানোর আগের ধাপে, গগনযানের সব পর্যায়ের প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হবে এর আওতায়। এদিনের পরীক্ষায় গগনযানের মডেলের সংঙ্গে তিনটি প্যারাশ্যুট ব্যবহার করা হয়েছে। ফেরার সময়, পৃথিবীতে অবতরণের মুহূর্তে পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে ওই প্যারাশ্যুট ব্যবহার করে প্রাণে বাঁচতে পারেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন উদ্যোগ।