নয়াদিল্লি: মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. 'গগনযান' অভিযানে যে মহাকাশযানে চাপিয়ে মানুষ পাঠানো হবে মহাকাশে, সেটি উৎক্ষেপণ করবে LVM3 লঞ্চপ্যাড। ওই লঞ্চপ্যাডে যে বিশেষ ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে, পরীক্ষায় উতরে গেল তা। চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় ওই ইঞ্জিন উতরে গিয়েছে, অর্থাৎ মহাকাশে মানুষ বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত বলে গন্য হয়েছে। (ISRO Gaganyaan Test)


বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করে ISRO. তারা জানিয়েছে, ISRO-র CE20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন 'গননযান' অভিযানের জন্য পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে। ইঞ্জিন কতটা শক্তিধর, রকেটকে কতটা শক্তি জোগাবে, সেই নিয়ে লাগাতার পরীক্ষা চলছিল। মহাকাশচারী ছাড়াই LVM3 G1-এর মাধ্যমে যে মানবহীন রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে, তার পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে CE20 ইঞ্জিন। 


তরল অক্সিজেন (LOX) এবং তরল হাইড্রোজেন (LH2) জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনে। এর জ্বালানি এবং অক্সিডাইজার, দুই-ই তরল অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়, -১৮৩ এবং -২৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। নিরাপদে মহাকাশে মানুষ পরিবহণের প্রক্রিয়াকে বলা হয় Human Rating, তাতেই উতরে গিয়েছে CE20 ইঞ্জিন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় উতরে যায় সেটি। মহেন্দ্রগিরিতে ISRO-র প্রপালসন কমপ্লেক্সে সেটির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা করে দেখা হয় ইঞ্জিনের সহ্যক্ষমতা। অতিরিক্ত চাপে কতটা সক্রিয় থাকে ইঞ্জিন, পরীক্ষা করে দেখা হয় তা-ও। 



আরও পড়ুন: Area 51: ভেঙে পড়া UFO-তে ভিনগ্রহীদের দেহ, হয় ময়নাতদন্তও? Area 51-এ ঠিক কী ঘটেছিল


ISRO জানিয়েছে, নিরাপদে মানুষ পাঠানোর উপযুক্ত কি না, তার জেরে বেশ কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা করা হয় CE20 ইঞ্জিন। চারটি ইঞ্জিনকে তাপমাত্রা সহ্য করার পরীক্ষা দিতে হয় মোট ৩৯ বার। 'গগনযান' অভিযানের আওতায় প্রথম ধাপে মানুষ ছাড়া একটি অভিযান চালানো হবে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে। মহাকাশযানের ইঞ্জিনও পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।  


'গগনযান' অভিযানের আওতায়  তিন জন মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাবো ISRO. তিন দিনের অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে তাঁদের। নিরাপদে ভারতীয় জলভাগে অবতরণ করানো হবে তাঁদের। তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে 'গগনযান' অভিযানের আওতায় মহাকাশে রোবট নারী বা যন্ত্রমানবীকে পাঠানো হবে। মহাকাশে নভোচারীদের পাঠানোর চেয়ে, তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেপে মেপে পা ফেলা হচ্ছে।