কলকাতা:পৃথিবীর দুই গোলার্ধ, উত্তর ও দক্ষিণ। সূর্যের চারিদিকে ঘোরার সময়েই অক্ষের (axis) উপর নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দিকে হেলে যায়। ছয় মাস উত্তর গোলার্ধ সূর্যের তুলনামূলক কাছে থাকে, বাকি ছয় মাস দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের তুলনামূলক কাছে থাকে।


এখানেই আসে একটি দিনের কথা। ২১ জুন, যাকে ভূগোলের পরিভাষায় Summer Solistice বা কর্কটক্রান্তি দিবস বলে। নিরক্ষরেখার (Equator line) উত্তর দিকে যে ভূখন্ড রয়েছে তাতে এখন গ্রীষ্মকাল। ২১ জুন এই গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে বড় দিন (Longest Day)। এই দিনটিতে সূর্যের রশ্মি সরাসরি কর্কটক্রান্তি রেখার উপর পড়ে এবং ২৪ ঘণ্টায় দিনের ভাগ সবচেয়ে বড় হয়। 


নিজের অক্ষের উপর ঘোরার সময় সূর্যের দিকে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে পৃথিবী। এই হেলে থাকা অংশেই সূর্যোলোক বেশি পৌঁছয়। এই কারণেই ২১ জুন এবং আগেপিছে কয়েকটি দিন তুলনামূলক বেশি পরিমাণে সূর্যের আলো এসে পৌঁছয় পৃথিবীতে, সেই কারণেই দিনের ভাগ বেশি হয়। যদিও উত্তর গোলার্ধের সর্বত্র কিন্তু একই পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছবে বা দিনের ভাগ একই সময় হবে এমনটা নয়। সেটা নির্ভর করে কোন অক্ষাংশের ভূখন্ড তার উপর। পৃথিবীর কর্কটক্রান্তি রেখা মেক্সিকো, উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেখ, ভারত ও চিনের উপর দিয়ে গিয়েছে। এখানেই সবচেয়ে বেশি সূর্যরশ্মি (Sun Ray) পড়ে এই দিনটি। আবার উত্তর মেরুতে এবং মেরুর কাছাকাছি যে দেশগুলি রয়েছে তাতেও দেখা যায় অবাক করা কাণ্ড। মেরু অঞ্চলে ২১ জুন দিনটিতে রাতেও সূর্য থাকে আকাশে। রাতের বেলা প্রখর রোদ না থাকলেও স্পষ্ট বোঝা যায় সূর্যকে। এই ঘটনাটিকে Midnight Sun বলা হয়। এই সময়েই দক্ষিণ মেরুতে এই গোটা দিন দিগন্তরেখায় সূর্যের (Sun) দেখাই মেলে না।


Earth Sky-এর তথ্য অনুসারে, Summer Solistice বা কর্কটক্রান্তি দিবস আসলে গোটা দিন নয়। আদতে একটি মূহূর্ত। এই দিনটির পরেই সূর্য দক্ষিণে যেতে শুরু করে। 


সূর্যের আলো বেশি পরিমাণে পড়লেও এই দিনটি কিন্তু উষ্ণতম দিন নয়। কারণ উষ্ণতা সূর্যের আলোর উপরেই শুধু নির্ভর করে না। জলবায়ুগত আরও একাধিক কারণের উপর নির্ভর করে। 


আরও পড়ুন: জিমে না গিয়েও কীভাবে খেয়াল রাখবেন শরীর-স্বাস্থ্যের? ফিট থাকতে প্রতিদিন করতে পারেন এই কাজগুলি