ফ্লোরিডা: ভারতের চন্দ্রযান-৩ অভিযান সাড়া ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। সেই আবহেই বিভিন্ন দেশের চার নভোশ্চর রওনা দিলেন মহাকাশে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এবং ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা Space X-এর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেন তাঁরা। Space X-এর ক্রিউ ড্র্যাগন এনডিউব়্যান্স ক্যাপসুল এবং তাকে বয়ে নিয়ে চলা Falcon 9 রকেটে চেপেই রওনা দিয়েছেন সকলে, এই অভিযানকে সংক্ষেপে Crew-7-ও বলা হচ্ছে, কারণ কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাকাশে মানুষ পাঠানোয় এটি NASA-র সপ্তম অভিযান।
স্থানীয় সময় ভোর ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে আমেরিকার ফ্লোরিডায় NASA-র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা দেয় Space X সংস্থার Falcon 9 রকেটটি। NASA-র জ্যাসমিন মোঘবেলি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির আন্দ্রিয়াজ মোগেনসেন, জাপান এ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির জ্য়োতির্বিজ্ঞানী সাতোশি ফুরুকাওয়া, রাশিয়ার রসকসমোসের জ্যোতির্বিদ কনস্তানতিন বরিশভ ওই রকেটে সওয়ার।
NASA জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে Falcon 9-এর উপর নজরদারি চালাবে Space X. হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাবতীয় কাজকর্মের উপর নজরদারি চালাবে NASA. ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন Expedition 69-এর মহাকাশচারীরা, NASA-র স্টিফেন বাওয়েন, উডি হোবার্গ, ফ্র্যাঙ্ক রুবিও এবং সংযুক্তি আরব আমিরশাহির সুলতান আলনেয়াদি, রসকসমোসের সেরগেই প্রোকোপিভ, দিমিত্রি পিতেলিন, আন্দ্রি ফেদেইয়েভ।
সেখানে তাঁদের সঙ্গে কাজে যোগ দেবেন Falcon 9-এর নভোশ্চরেরা। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোশ্চরের সংখ্যা বেড়ে হবে ১১। তবে অল্প সময়ের জন্যই। কারণ, কয়ক দিন পরই বাওয়েন, হোবার্গ, আলনেয়াদি এবং ফেদইয়েভ ফিরে আসবেন পৃথিবীতে। মার্চ মাস থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন তাঁরা।
NASA জানিয়েছে, Space X-এর রকেটটি স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৮টা বেজে ৩৯ মিনিটে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাবে। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের যে অংশ হারমনি মডিউলের দিকে মুখ করে রয়েছে, সেখানে নোঙর করবে রকেটটি। NASA-র টেলিভিশন চ্যানেল, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে গোটা ঘটনাক্রম সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে নভোশ্চরদের শরীর কেমন থাকে, তাঁদের ঘুমের অভ্যাসে কী কা পরিবর্তন আসে, পৃথিবী ছাড়ার সময় থেকে মহাকাশে পৌঁছনো পর্যন্ত কী কী পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় শরীর, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন সেই নিয়ে গবেষণা চলছে। পরবর্তী অভিযানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিও পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।