নয়া দিল্লি:  মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে এখন অনেক কিছুই সম্ভব। আর এই মেশিন লার্নিংয়েরই আরেকটি অংশ হল এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এবার এই আর্টিফিয়াল ইন্টালিজেন্সের মাধ্যমেই নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।                                                     

জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সৌরজগতের বাইরের অজানা একটি গ্রহের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। এটি জ্যোতির্বিদ্যা এবং মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে AI-এর প্রাথমিক পদক্ষেপ। কারণ এর মাধ্যমে মহাকাশেও এটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।

ইউজিএ ফ্র্যাঙ্কলিন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস-এর ডক্টরাল ছাত্র জেসন টেরি, একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "আমরা আগের  কৌশলগুলি ব্যবহার করে গ্রহটি নিশ্চিত করেছি। কিন্তু আমাদের মডেলগুলি আমাদের সেই সিমুলেশনগুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। গ্রহটি ঠিক কোথায় হতে পারে তা আমাদের দেখিয়েছে। নতুন আবিষ্কারটি সৌরজগতের বাইরে পাওয়া ৫০০০টিরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেটের ক্রমবর্ধমান ক্যাটালগে যোগ করেছে এই নয়া গ্রহটিকে। 

আরও পড়ুন, ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?

সম্প্রতি এক গ্রহের খোঁজ পেয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ইনফ্রা-রেড ক্যামেরার মাধ্যমে খোঁজ মিলেছে। নতুন এই গ্রহটি এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet), অর্থার আমাদের চেনা সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহ এটি। Nature-জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই প্রবন্ধ। নতুন এই গ্রহের নাম TRAPPIST-1b

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ-এর একটি ইনফ্রা- রেড ক্যামেরা (MIRI) ব্যবহৃত হয়েছে। ওই গ্রহের উত্তাপ বুঝতে ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্যামেরা। আর তাতে যা ফল মিলেছে, তাতে কার্যত নিরাশ হতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের। আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর মতো মনে হলেও ওই গ্রহের তাপ চোখ কপালে তোলার মতো। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, Infra Red ক্যামেরার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, TRAPPIST-1b- এর উত্তাপ ২৩০-২৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেই কারণেই কার্যত কোনও বায়ুমণ্ডল নেই।

তবে এই আবিষ্কার নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। JWST-এর ক্যামেরায় এমন ঘটনা ধরা পড়া পরবর্তী গবেষণার জন্য ভাল বলেই মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি TRAPPIST-1b-এর যা বৈশিষ্ট্য তা আমাদের সৌরজগতের কোনও গ্রহের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও মিলে যায়.