নয়াদিল্লি: যাবতীয় বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে মহাকাশে রওনা দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। বুধবার অবশেষে আমেরিকার ফ্লোরিডার Cape Canaveral Space Force Station থেকে ST-200 Boeng Starliner রকেটে চেপে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি। আগামী এক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই থাকবেন সুনীতা। (Sunita Williams)


বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা বেজে ৫২ মিনিটে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি 'বুচ' উইলমোর। যে Atlas 5 রকেটে চেপে মহাকাশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা, সেটির নকশা তৈরিতেও সুনীতার ভূমিকা রয়েছে। তৃতীয় বারের চেষ্টায় সুনীতা এবং ব্যারি মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিতে সফল হলেন। (NASA News)


আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা NASA জানিয়েছে, স্টারলাইনার সঠিক কক্ষপথের হদিশ পেয়ে গিয়েছে। একদিন পর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রকেট নোঙর করনে সুনীতা এবং ব্যারি। এই মুহূর্তে ওই কক্ষপথে মহাকাশচারী সম্বলিত আমেরিকার তিনটি মহাকাশযান অবস্থান করছে- বোয়িং স্টারলাইনার, ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থার Crew Dragon এবং আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন।  



আরও পড়ুন: First Wooden Satellite: প্রথম কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ, অসাধ্যসাধন করল জাপান, এবছরই উড়ান


সব ঠিক থাকলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের অগ্রভাগে, হারমোনি মডিউলে নোঙর করবেন সুনীর এবং ব্যারি। একসপ্তাহ মহাকাশে থাকবেন তাঁরা। সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন। ST-200 Boeng Starliner রকেটটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। মহাকাশচারীরাই সেটির নকশা তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছে NASA. 


মহাকাশ অভিযানে মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা সুনীতা। এই নিয়ে তৃতীয় বার মহাকাশ অভিযানে রওনা দিলেন তিনি। এর আগে, ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা। একসময় সর্বোচ্চ স্পেসওয়াকের রেকর্ডও তাঁর দখলে ছিল। পরে তাঁকে ছাপিয়ে যান পেগি হুইটসন। নিজেদের তত্ত্বাবধানে তৈরি নয়া রকেটে চেপে মহাকাশ অভিযানে বেরিয়ে আবারও ইতিহাস রচনা করলেন সুনীতা। 




ঢের আগেই যদিও এই অভিযান সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বার বার অভিযান বাতিল হয়। রকেটের আসনে বসে পড়ার পরও নেমে আসতে হয় সুনীতা এবং ব্যারিকে। তবে এবার সবকিছু ভালয় ভালয় সম্পন্ন হয়েছে।



মহাকাশ  গবেষণার ছাড়াও ব্যবসায়িক স্বার্থে মহাকাশ অভিযানকে কাজে লাগাতে চাইছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. তাদের সেই লক্ষ্যপূরণের পথে এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধনকুবের ইলন মাস্কের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা SpaceX-কে টেক্কা দিতে চায় NASA.  মহাকাশ অভিযানকে আরও নিরাপদ এবং টেকসই করে তুলতে কাজ করছে NASA.