ধর্মশালা: মেঘলা আকাশ। সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টিরও। এই পরিস্থিতিতে বোলারদের যেখানে সুবিধা পাওয়ার কথা সেখানে ভুবনেশ্বর কুমারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। করোনা আতঙ্কে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগাইনেজশন যে গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে বল পালিশ করার সময় লালা ব্যবহার না করার কথাই বলা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে হু-এর দেওয়া সেই নির্দেশিকা ব্যবহারের জন্যও ক্রিকেটার সহ সমস্ত সাপোর্টিং স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেকারণেই চিন্তায় ভুবি। কামব্যাক ম্যাচে কার্যত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়েই খেলতে হবে তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ পাননি, এতে ভুবি কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন। তার ওপর সুইং যার অস্ত্র সেই অস্ত্রে শানই দেওয়া যাবে না! এতে আরও মাথাব্যথা বেড়েছে ভারতের তারকা বোলারের।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের LIVE UPDATE
ভুবনেশ্বর জানিয়েছেন, “লালা না ব্যবহারের বিষয়টিই আমাদের মাথায় রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এমনটা করা যাবে কিনা, তা এখনই বলা যাবে না। লালা ব্যবহার না করলে বলে উজ্জ্বলভাব কীভাবে আনব?” সঙ্গে তিনি এও জানান, দলের বৈঠক হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনা আতঙ্কের কারণে হু-র দেওয়া গাউডলাইন মেনে চলার নির্দেশ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের। ক্রিকেটার, সাপোর্টিং স্টাফ থেকে সমস্ত ক্রীড়া সহযোগীদের ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
হু-এর তরফে যে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে:
এক. অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে
দুই. হ্যান্ড স্যানিটাইজারস ব্যবহার করতে হবে
তিন. হাঁচি বা কাশির সময় মুখে হাত দেওয়া আবশ্যক
চার. জ্বর, কাশি বা অসুস্থ বোধ করলেই মেডিক্যাল টিমকে জানাতে হবে
পাঁচ. হাত ধোয়া না অবস্থায় চোখ, মুখ, নাক বা মুখের কোনও অংশই স্পর্শ করা যাবে না
ছয়. রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে এড়িয়ে চলতে হবে
সাত. করমর্দন, নিজস্বী এবং অপরিচিতদের থেকে দূরে থাকতে হবে