নয়াদিল্লি: ফের গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় বিশ্বক্রিকেট। জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe Cricket Team) প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর (Brendan Taylor) এবার মুখ খুললেন স্পট ফিক্সিং নিয়ে। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান যে, এক ভারতীয় ব্যবসায়ী তাঁকে ম্য়াচ গড়াপেটা করার জন্য় চাপ দিয়েছিলেন! এবং তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার কাছে জানাতে চার মাস দেরি করায় তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একাধিক বছরের জন্য় নির্বাসিত করা হতে চলেছে।
গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে যথা সময়ে জানাননি। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা তাঁকে নির্বাসিত করতে চলেছে। আইসিসির ঘোষণার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি জিম্বাবোয়ের তারকার।
জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক টেলর সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে এমন অন্ধকার জগতে তিনি জড়িয়ে পড়েন। জানিয়েছেন, মাদক সেবনের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কীভাবে ভারতীয় বুকি স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়। টেলর জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এদেশে এসেছিলেন তিনি। তাঁকে জিম্বাবোয়েতে একটি টি-২০ লিগ আয়োজন ও তার স্পনসরশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্যই ডাকা হয়েছিল। খরচ বাবদ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছিল।
তবে যে সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়, প্রত্যেকের মতো সেই রাতে তিনি কোকেন সেবন করেছিলেন। তবে পরের দিন সেই ভিডিও দেখিয়েই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হয় এবং স্পট ফিক্সিং করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
টেলর জানিয়েছেন, জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে দীর্ঘদিন কোনও পারিশ্রমিক না পাওয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবোয়ের অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয়ের জন্যই ভারতীয় ব্যবসায়ীর প্রস্তাব মতো এদেশে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন টেলর। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থেই তিনি কিছুদিন মুখ বন্ধ করেছিলেন। তবে মাস চারেক পরে আইসিসিকে সব কিছু জানানোই মনস্থির করেন। যদিও গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে জানানোর এমন দেরি বরদাস্ত করেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। তাই তাঁকে বেশ কয়েক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হবে বলেও জানান টেলর।
তবে টেলর এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আর যাই হোক, বুকিদের প্রস্তাব মতো কখনও কোনও ম্যাচে গড়াপেটা করেননি তিনি। কোনওরকম ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে তিনি কখনও জড়াননি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞপ্তিতে। আইসিসির শাস্তিও তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন বিবৃতিতে।