সিডনি: কেপ টাউনের (Cape Town Test) সেই অভিশপ্ত টেস্ট। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa vs Australia) বিরুদ্ধে টেস্টে বল বিকৃতি ঘটানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সঙ্গে ওয়ার্নারকেও নির্বাসিত করা হয়েছিল। পরে অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের ক্রিকেটে ওয়ার্নারের নেতৃত্ব দেওয়ার এক্তিয়ার কেড়ে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কোনওদিন অস্ট্রেলিয়ার কোনও দলের অধিনায়ক হতে পারবেন না ওয়ার্নার।         


দীর্ঘ ৬ বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জানিয়ে দিল, নির্বাচিত হলে ওয়ার্নারের কোনও দলের নেতৃত্ব দেওয়ায় আর বাধা নেই।


২০১৮ সালে কেপ টাউনের সেই মহা বিতর্কিত টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। পরে স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে ফের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্নারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার তিন সদস্যের কমিটি অবশেষে ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। জেফ গ্লেসন, জেন সিরাইট ও অ্যালান সালিভান কেসি-র কমিটি জানিয়ে দিল, ওয়ার্নারের ওপর আর নেতৃত্ব নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা রইল না।


যার অর্থ, বিগ ব্যাশ লিগে (Big Bash League) সিডনি থান্ডার (Sydney Thunder) দলের নেতৃত্ব দিতে আর কোনও বাধা রইল না ওয়ার্নারের। প্যানেল জানিয়েছে, ওয়ার্নার মাঝের এই সময়ে শ্রদ্ধাশীল আচরণ করেছেন। তিনি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে আবেদন করেছিলেন, তাও যথাযথ। তিনি আন্তরিকভাবেই নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন অত্যন্ত ভদ্রতার সঙ্গে। ওয়ার্নার যে নিজের কৃতকর্মে অত্যন্ত অনুশোচনার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটাও সন্তুষ্ট করেছেন কমিশনকে।


আরও পড়ুন: কোহলির ব্যাটিং-ভিডিও দেখে অস্ট্রেলিয়ায় বোলারদের শাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলার ক্রিকেটার





পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ার্নারের অবদানও মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।


গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের পরই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ওয়ার্নার। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ের পর ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাট থেকেও অবসর ঘোষণা করেন। তবে বিবিএলে খেলবেন তিনি।