চেন্নাই: বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদের স্যুইংয়ের বিষে তখন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, একের পর এক রথী মহারথীরা প্যাভিলিয়নে। চেন্নাইয়ে চাপের মুখে তিনি কার্যত একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন প্রথম সেশনে। তিনি, যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমে বৃহস্পতিবার যিনি ১১৮ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেললেন।
প্রথম দিনের শেষে আর অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজার পার্টনারশিপে ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত। অবিচ্ছেদ্য সপ্তম উইকেটে ১৯৫ রান যোগ করেছেন দুজনে (India vs Bangladesh)।
যদিও পাল্টা লড়াইয়ের শুরুটা হয়েছিল যশস্বীর ব্যাটেই। ঘরের মাঠে বছরের গোড়ায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সাতশোর ওপর রান করে সুনীল গাওস্করের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ব্যাট হাতে সপ্রতিভ যশস্বী।
কীভাবে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের ঝাঁঝ সামলালেন? যেখানে বিরাট কোহলি পর্যন্ত অফস্টাম্পের বাইরের বলে পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন? প্রথম দিনের খেলার শেষে সাংবাদিক বৈঠকে যশস্বী বলেন, 'এই পরিবেশ, পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। এই পরিস্থিতি আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলা দরকার, তা নিয়ে অনেক কিছু শিখলাম। কীভাবে পরিকল্পনা করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাও শিখলাম।'
আরও পড়ুন: সমাজের মহিষাসুরেরা নিপাত যাক, প্রার্থনায় বিশেষ অনুষ্ঠান করছেন ডোনা
যশস্বী আরও বলেন, 'আমি দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। সেই মতো নিজের খেলা পাল্টেছি। শুরুতে উইকেট পড়লে আমি কীভাবে ব্যাটিং করব? যখন রান আসছে, কীভাবে ব্যাটিং করব?'
টেস্টে পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে সেভাবে ব্যাটিং করেননি। বরং অনেক সতর্ক দেখিয়েছে মুম্বইয়ের ব্যাটারকে। পঞ্চাশের কম স্ট্রইক রেট রেখে রান করেছেন।
দ্বিতীয় সেশনে নাহিদ রানার চকিত বাউন্সারে তিনি আউট হন। যদিও ভারত ভাল জায়গায় আছে বলেই মনে করেন যশস্বী। বলেছেন, 'শুরুর দিকে পিচে পড়ে বল নীচু হচ্ছিল, নড়াচড়া করছিল। তাই আমরা সময় নিয়ে খেলছিলাম। তবে শেষ সেশনে ভাল গতিতে রান উঠেছে। এই মুহূর্তে আমরা ভাল জায়গায় রয়েছি।'