দিমাপুর: চলতি রঞ্জি মরসুমের দ্বিতীয় জয় পেল বাংলা রঞ্জি দল। এক ইনিংস ও ১৬১ রানে নাগাল্যান্ডকে হারিয়ে বোনাস পয়েন্ট নিয়েই ম্যাচ জিতল বাংলা। রঞ্জির প্রথম তিন ম্যাচের পর বর্তমানে বাংলার মোট সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। ব্যাট হাতে দলের জয়ের ভিত রাখেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে কর্ণ লালের সুবাদে তিন দিনেই ম্যাচ জিতে গেল বাংলা। 


৪৫০ রানে বাংলা নিজেদের ইনিংস ঘোষণার ফলে ২৮৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে নাগাল্যান্ড। দুই ওপেনার শুরুটা মোটামুটি ভালই করে। ৪৬ রান যোগ করেন যুগন্ধর সিংহ ও জশুয়া। তবে একবার উইকেট পড়তে শুরু করলে নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে নাগাল্যান্ড। বাংলার স্পিনারদের বিরুদ্ধে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করে নাগাল্যান্ড। ১২৩ রানেই নাগাল্যান্ড অলআউট হয়ে যায়। শ্রীকান্ত মুণ্ডে নাগাল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ২৮ রান করেন। এই ম্যাচেই বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান কর্ণ লাল। তিনি পাঁচটি উইকেট নিয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচকে চিরস্মরণীয় করে রাখলেন। কর্ণ লালের পাশাপাশি শাহবাজ আমেদ ব্যাটের পর বল হাতেও দুরন্ত পারফর্ম করেন। তিনি তিন উইকেট নেন। দুই উইকেট নেন আরেক তরুণ প্রদীপ্ত প্রামাণিক।


শাহবাজ-মনোজের দাপট


প্রথম ইনিংসে নাগাল্যান্ডের ১৬৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরেন কৌশিক ঘোষ, ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ কুমার ঘরামি ২৯৪ রান যোগ করেন। উভয়ই শতরান হাঁকান। ২১৮ বলে ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার ওপেনার। অন্যদিকে ১৭৮ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। ৩০ রান করেন অনুষ্টুপ। এরপরেই ক্রিজে মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গ দিতে নামেন শাহবাজ। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তুলেছিল বাংলা। 


চতুর্থ দিনে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দলের স্কোরকে হু হু করে এগিয়ে নিয়ে যান শাহবাজ। মাত্র ৫৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শাহবাজের মতো এত দ্রুত গতিতে না হলেও, মনোজও দারুণ ছন্দে ব্যাট করেন। চারটি চারের সহায়তায় ৬০ বলে ৫১ রান করেন বাংলার অভিজ্ঞ তারকা। এই দুইয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের দৌলতেই তৃতীয় দিনের নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের সুযোগ পায় বাংলা।


আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ল ভারতের