কলকাতা: ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলায় ফিরেছেন। খেলে ফেলেছেন বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টেও। চোট পাওয়া অভিমন্যু ঈশ্বরণের বদলি হিসাবে। আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে কি বাংলার জার্সিতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেও দেখা যাবে ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha)? 


সোমবার, ১২ অগাস্ট একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে সিএবি। সেখানে ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে বড় কোনও ঘোষণা হতে পারে। সিএবি-র কয়েকটি মহলে খোঁজ নিয়ে উঠে এল একাধিক তথ্য। জানা গেল, বাংলায় ফেরার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে সোমবার সন্ধ্যায়। আসন্ন মরশুমে যে বাংলার জার্সিতে ফের দেখা যেতে পারে উইকেটকিপার ব্যাটারকে, সেই ঘোষণা করতে পারে সিএবি। 


পাশাপাশি জানা গেল, বাংলার হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটে নাও দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমানকে। তিনি নাকি নিজেই কোনও কোনও মহলে জানিয়েছেন যে, রঞ্জি ট্রফিতে খেললেও সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে নাও খেলতে পারেন। কিন্তু কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সামনেই আইপিএলের মেগা নিলাম। গত মরশুমেও গুজরাত টাইটান্সের হয়ে খেলেছেন ঋদ্ধিমান। আইপিএল নিলামের আগে তিনি কি এমন ঘোষণা করবেন যে, ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেটে খেলবেন না! তাতে প্রভাব পড়তে পারে নিলামের টেবিলেও। কোনও কোনও মহল আবার দাবি করছে, পরের আইপিএলের নিলামে নাও দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমানকে। পরের আইপিএলের আগেই যাঁর বয়স হবে ৪০। তিনি নিলামে উঠলে অবিক্রিত থেকে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা কারও কারও। সেই জন্যই কি টি-২০ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ঋদ্ধিমান?


বাংলার অধিনায়ক নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। গত মরশুমে বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। রঞ্জি ট্রফির পরে তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। পরের মরশুমে বাংলার নেতৃত্বে কে? শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি নাম। যার মধ্যে কোনও কোনও মহল থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঋদ্ধিমানের নামও। বলা হচ্ছে, রঞ্জি ট্রফিতে বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার সেরা লোক এই মুহূর্তে ঋদ্ধিই। ৪০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে যাঁর ঝুলিতে। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, নেতৃত্বের দৌড়ে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও।


কারও কারও মতে, ঋদ্ধিমান এ-ও ঘোষণা করতে পারেন যে, এই মরশুম খেলেই তিনি জুতোজোড়া তুলে রাখবেন। যদিও মরশুম শুরুর আগে সিএবি-তে বসে এরকম ঘোষণা বেশ বিরল। উত্তরের জন্য সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকের দিকেই চেয়ে সকলে।