নয়াদিল্লি: বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। অপরদিকে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal)। দুই ভারতীয় স্পিনারই বিশ্বের নিজেদের বোলিং দক্ষতার জন্য প্রসিদ্ধ হলেও, তাঁদেরকে জঘন্য বোলার বলেই বেনজির আক্রমণ করলেন প্রাক্তন পাকিস্তান স্পিনার আব্দুর রেহমান (Abdur Rehman)। তাঁর মতে পাকিস্তানি স্পিনাররা ভারতীয় স্পিনারদের থেকে অনেক বেশি দক্ষ।
বেনজির আক্রমণ
প্রাক্তন পাক স্পিনার সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'জাডেজা শুরুতে এসেছিল, তখন ও খুবই জঘন্য স্পিনার ছিল। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্বে ওকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যে ও বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর বোলার। চাহালও অত্যন্ত বাজে স্পিনার। ওর বিরুদ্ধে সহজেই বড় শট মারা যায়। ওর বলে না আছে গতি, না বল স্পিন হয়। এমন বোলাররা আন্তর্জাতিক স্তরে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।'
তবে রেহমানের সমালোচনা আর বাস্তবের মধ্যে অন্তত পরিসংখ্যানের মতে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।চলতি বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতেই ছয় মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে জাডেজা ব্যাটে, বলে আগুন ঝরাচ্ছেন। দুই টেস্টে ইতিমধ্যেই ১৭টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন তিনি। এছাড়া ব্যাট হাতে প্রথম টেস্টে অর্ধশতরানও হাঁকান তিনি। অপরদিকে, চাহাল এখনও পর্যন্ত টেস্টে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি বটে। তবে টিম ইন্ডিয়ার সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলের তিনি নিয়মিত সদস্য। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সর্বাধিক (৭৪ ম্যাচে ৯১টি) উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ওয়াংখেড়েতে 'ঈশ্বরের' মূর্তি
ক্রিকেটের অন্যতম পীঠস্থানে বসছে ক্রিকেট ঈশ্বরের মূর্তি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বসানো হবে সচিন তেন্ডুলকারের পূর্ণাবয়াব মূর্তি (Sachin Statue at Wankhede)। কোন জায়গায় মূর্তি বসানো হবে, সেই জায়গা খতিয়ে দেখতে হাজির হয়ে যা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। মূর্তি-প্রসঙ্গে কথা বলার মাঝে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একাধিক ব্যক্তিগত থেকে দলগত ইতিহাস উঠে এল তাঁর গলায়।
মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তথা এমসিএ (MCA) প্রেসিডেন্ট অমোল কালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মূর্তি বসানোর কথা জানিয়ে বলেছেন, ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে এই প্রথম কোনও ক্রিকেটারের মূর্তি বসতে চলেছে। ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় যে মূর্তি উন্মোচন করা হবে। এমসিএ লাউঞ্জে গোল পাটাতনের ওপর বসানো থাকবে ক্রিকেট ঈশ্বরের পূর্ণাবয়াব মূর্তি। ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে ক্রিকেটারদের মূর্তি বসানোর নজির তেমন একটা নেই ভারতে। শুধুমাত্র নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও অন্ধ্রপ্রদেশের ভিডিসিএ স্টেডিয়ামে রয়েছে সিকে নায়ডুর মূর্তি।
মঙ্গলবার সস্ত্রীক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ঘুরে দেখতে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সচিন তেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar)। তিনি বলেছেন, ১৯৯৮ সালে এই মাঠেই সবটা শুরু হয়েছিল। আপ্লুত এই উপহারের খবরে। আমার কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ও এই মাঠেই। সচিন জানিয়েছেন, ছোটবেলায় আচরেকর স্যার এই মাঠে নিয়ে এসেছিলেন, যারপর থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার পথে আসল যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই মাঠে একাধিক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুটবল মাঠে পুতুল বৃষ্টি, ভূমিকম্পবিধ্বস্ত তুরস্কে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে অভিনব উদ্যোগ