মুম্বই: চোট-আঘাত বারবার তাঁর কেরিয়ারে প্রভাব ফেলেছে। টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। মাঠে ও মাঠের বাইরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন বারবার। তিনি আদৌ পুরো ফিট কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এরইমধ্যে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার কথা ভেবেছেন হার্দিক। বিসিসিআইয়ের এক কতর্তা জানিয়েছেন, ''হার্দিক ছুটি চেয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল নির্বাচনের সময় ওকে যাতে না ভাবা হয় সেটাও জানিয়েছে। ছুটিতে বিসিসিআই ও এনসিএর নির্দেশ মত নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে চায় হার্দিক। এখনই বলা যাচ্ছে না ও কবে ফিরবে। আশা করা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওকে পাওয়া যেতে পারে। তবে এখনই বলা সম্ভব নয়।''


আগামী বছর আরও একটা টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে দেশে-বিদেশে একাধিক সিরিজ আছে। আছে আইপিএল। নিজেকে সম্পুর্ণ ফিট করে তুলতে হার্দিকের প্রয়োজন বিশ্রাম। পিঠের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় একমাত্র বিশ্রাম। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। এই চোটের জন্যই ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে হার্দিককে। কিন্তু সম্পুর্ণ ফিট না হয়ে আবার ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা করতেই সমস্যা।


এরইমধ্যে, টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে দুবাই থেকে ফেরার সময় শুল্ক সমস্যায় পড়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। এ খবর সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশ্যে এসেছিল। যদিও এই ঘটনা সত্য নয়, এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেটার। 


জানা গিয়েছে দুবাই থেকে ফেরার সময় মুম্বই বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তারা  ৫ কোটি টাকার দুটি ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। মুম্বই কাস্টমস বিভাগের তরফে অভিযোগ, এই ঘড়ির কোনও রসিদ ছিল না ক্রিকেটারের কাছে। এমনকী লাগেজে যে ঘড়ি রয়েছে সেটিও উল্লেখ করেননি তিনি। ফলে শুল্ক দফতরের অফিসাররা বহুমূল্যের ঘড়ি দুটি বাজেয়াপ্ত করে।  


কিন্তু এবার ঘটনার আসল সত্য জানালেন হার্দিক নিজেই। তিনি বলেন, "সোমবার সকালে দুবাই থেকে আমার ফেরার পর, আমার লাগেজ তোলার পর, আমি স্বেচ্ছায় মুম্বাই বিমানবন্দরের কাস্টমস কাউন্টারে গিয়েছিলাম আমার আনা আইটেমগুলি ঘোষণা করতে এবং প্রয়োজনীয় শুল্ক পরিশোধ করতে। মুম্বাই বিমানবন্দরে কাস্টমসের কাছে আমার ঘোষণার বিষয়ে সামাজিক মিডিয়াতে ভুল ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমি কী ঘটেছে তা স্পষ্ট করতে চাই।