দোহা: টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জার্মানির কিংবদন্তি য়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, অঘটনের বিশ্বকাপ হবে এবার।


ফুটবল পণ্ডিতরা হয়তো ভাবতেও পারেননি যে, ক্লিন্সম্যানের কথা এত তাড়াতাড়ি ফলে যাবে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল আর্জেন্তিনা। যাদের ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছিল। সৌদি আরব আর্জেন্তিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল (Argentina vs Saudi Arabia)। অঘটনের বিশ্বকাপ যেন শুরু হয়ে গিয়েছিল মঙ্গলবার, টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনই।


আর বুধবার খোদ ক্লিন্সম্যানের দেশ অঘটনের শিকার। সৌদি আরবের পর ফের ঘাতক এশিয়ার আর এক দেশ। জাপান। বুধবার তারা হারিয়ে দিল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। ২-১ গোলে।


বুধবার যেন বৃহস্পতিবারের আর্জেন্তিনা বনাম সৌদি আরবের ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে। জার্মানিও পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। পরে জাপানের দুই পরিবর্ত ফুটবলার রিৎসু দোয়ান ও তাকুমা আসানো শেষ ১৫ মিনিটে ২ গোল করে জাপানকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেয়। 


ম্যাচের শুরু থেকে ছিল জার্মানির দাপট। গ্রুপ ই-র প্রথম ম্যাচে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় জার্মানি। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইলকায়ে গুন্দোগান। কিন্তু আর গোল পায়নি জার্মানি। উল্টে ম্যাচে চাপ বাড়াতে থাকে জাপান। তাদের একের পর এক আক্রমণের সামনে রীতিমতো দিশাহারা দেখাচ্ছিল জার্মানির রক্ষণকে। অন্তত ২ বার দলের নিশ্চিত পতন রোখেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি।


 




আটকে গেল ক্রোয়েশিয়া


অঘটন না ঘটালেও, ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিল মরক্কো (Croatia vs Morocco)। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, ফুটবলে বিশ্বের সেরা দলগুলির সঙ্গে তথাকথিত ছোট দলের ব্যবধান কমছে।


বুধবার এল বেইত স্টেডিয়ামে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়াকে আটকে দিল মরক্কো। ম্য়াচ শেষ হল গোলশূন্যভাবে। ম্যাচে বেশিরভাগ সময়ই বলের দখল ছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ভোগাল ক্রোটদের। প্রথমার্ধে নিকোলা ভ্লাসিচ ছাড়া আর কেউ গোল করার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছতেই পারেননি। মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বৌনু ভ্লাসিচের সেই প্রয়াস রুখে দেন। 


দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াকু ফুটবল উপহার দেয় মরক্কো। একবার তো প্রায় গোলমুখ খুলেই ফেলেছিল। ক্রোট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ দুরন্ত সেভ না করলে হয়তো ক্রোয়েশিয়াই গোল হজম করে বসত। মরক্কোর নৌসির মাজরাউইয়ের হেড রুখে দেন লিভাকোভিচ। এছাড়া আরও কয়েকবার মরক্কোর আক্রমণ রুখে দেন ক্রোট গোলকিপার। ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।


আরও পড়ুন: আর্জেন্তিনাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা, বুধবার জাতীয় ছুটি ঘোষণা সৌদি আরবে