আমদাবাদ: লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্স (GT vs LSG) নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখল। আইপিএল ইতিহাসে দুই বছরে নাগাড়ে চতুর্থবার লখনউকে হারাল গুজরাত। বল হাতে চার উইকেট নিয়ে গুজরাতের নায়ক মোহিত শর্মা (Mohit Sharma)। কুইন্টন ডিকক (Quinton de Kock) ৭০ রানের ইনিংস খেললেও লখনউ ২২৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৭১/৭ থেমে গেল।


পাওয়ার প্লেতে দুরন্ত শুরু


বড় রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত ওপেনারদের মতো লখনউয়ের ওপেনাররাও পাওয়ার প্লেতে শুরুটা খুবই আগ্রাসীভাবে করেন। কেএল রাহুল চোটের কারণে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। এদিন তাই কায়াল মায়ার্সের (Kyle Mayers) সঙ্গে ওপেন করার সুযোগ পান কুইন্টন ডিকক। দুই বাঁ-হাতি ব্যাটারের দাপটে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ৭২ রান তোলে লখনউ। কিন্তু নবম ওভারে বল হাতে নিয়েই গুজরাতকে কাঙ্খিত সাফল্য এনে দেন মোহিত শর্মা। ৩২ বলে ৪৮ রান করা মায়ার্সকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি।


ডিককের লড়াই ব্যর্থ


এদিন মহম্মদ শামি নতুন বল হাতে উইকেট না পেলেও, দীপক হুডাকে তিনিই মাত্র ১১ রানে সাজঘরে ফেরান। মার্কাস স্টোইনিসও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। মাত্র চার রানে তাঁকে মোহিত শর্মাই সাজঘরে ফেরান। ডিকক ৩১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তিনি লড়াই চালালেও, সেই লড়াই দীর্ঘমেয়াদি হয়নি। ৭০ রানেই তিনিও সাজঘরে ফেরেন। গুজরাতের তারকা স্পিনার রশিদ খানই দুরন্ত ছন্দে দেখানে প্রোটিয়া তারকাকে ফেরান। ডিকক আউট হওয়ার পর আর তেমনভাবে লখনউয়ের হয়ে কেউই লড়াই করতে পারেননি। আয়ুষ বাদোনি ২১ রানের ইনিংসের শুরুটা ভাল করলেও, সাজঘরে ফেরেন। শেষমেশ হতাশই হতে হল লখনউকে। মোহিত বাদে নূর আমেদ, রশিদ ও মহম্মদ শামি গুজরাতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন।


প্রথম ইনিংস


এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্রণাল। তবে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই গুজরাত টাইটান্সের দুই তারকা ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও শুভমন গিল (Shubman Gill) লখনউয়ের বোলারদের চাপে ফেলেন। শুভমন শুরুটা খানিকটা দেখেশুনে করলেও, ঋদ্ধিমান দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। মাত্র ২০ বলেই নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন ঋদ্ধিমান। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বিনা উইকেটে রেকর্ড ৭৮ রান তোলে গুজরাত। এই দুর্দান্ত শুরুর পরে গুজরাতকে আর ঘুরে দেখতে হয়নি। 


দুর্দান্ত ছন্দে দেখানো ঋদ্ধি ও শুভমন দেখতে দেখতেই শতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন। ঋদ্ধি তড়তড়িয়ে তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরানের দিকে এগচ্ছিলেন। তবে বাধ সাধেন প্রেরক মাঁকড়। ইনিংসের ১৩তম আবেশ খানের বলে ঋদ্ধি ভাল পুল শট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়ে চোখধাঁধানো একটি ক্যাচ ধরেন মাঁকড়। ঋদ্ধিকে ৪৬ বলে ৮১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয়। ঋদ্ধি আউট হলে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন।


ইনিংসের শুরুটা খানিকটা মন্থর করলেও, রান করার গতি বাড়ান তিনি। শুভমনও শতরানের দিকে এগচ্ছিলেন বটে। কিন্তু ইনিংসের শেষ ওভারে তিনি তেমন স্ট্রাইকই পাননি। তাই ৯৪ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় শুভমনকে। তাঁকে শেষের দিকে ১২ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে সঙ্গ দেন ডেভিড মিলার। তবে মূলত শুভমন ও ঋদ্ধির ব্যাটে ভর করেই এদিন গুজরাত এত বড় রান তুলতে পারল। লখনউয়ের হয়ে মহসিন খান ও আবেশ খান একটি করে উইকেট নেন।


আরও পড়ুন: অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না