কলম্বো: আজ হরভজন সিংহের (Harbhajan Singh) জন্মদিন। ৪২ বছরে পা দিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অফস্পিনার। কেরিয়ারে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। টেস্টে প্রথম ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। চারশোর বেশি টেস্ট উইকেট। ২ টো বিশ্বকাপ জয়। দেশের জার্সিতে কুম্বলের (Anil Kumble) সঙ্গে ভাজ্জির জুটি প্রতিপক্ষের কাছে যেন ছিল ত্রাস। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তাঁর বিষাক্ত স্পিনের ছোবলে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছিল মর্গ্যানদের। আজকের ওস্তাদের মার সিরিজে আমাদের প্রতিবেদন হরভজনের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা এই স্পেল নিয়েই -


অনবদ্য ভাজ্জি-চাওলা জুটি


কলম্বোয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি হয়েছিল ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ। বড় মার্জিনে জিততে হবে। প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে ১৭০ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ভারত। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে তখন এই রান তাড়া করাটা খুব চাপের নয়। কিন্তু কাজটা কঠিন করে দিলেন হরভজন। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হরভজন সিংহর কাছে ছিল কামব্যাক ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চকেই বেছে নিয়েছিলেন টার্বুনেটর। নিজের চার ওভারে স্পেলে ২ টো ওভার ছিল উইকেট মেডেন। আর মোট ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে একাই তুলে নিলেন ৪ উইকেট। তার মধ্যে ছিলেন ২ সেরা ইংরেজ ব্যাটার মর্গ্যান ও বাটলার। বাকি ২ উইকেট টিম ব্রেসনান ও গ্রেম সোয়ানের। হরভজনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন পীযুশ চাওলা। তিনি তাঁর ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। ২ জনে মিলে মোট ৮ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে ইংল্য়ান্ডের জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন। 


৮০ রানে জয় ভারতের


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ব্রড। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন রোহিত শর্মা। ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন গৌতম গম্ভীর। ৪০ রান করেন বিরাট। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। হরভজন ও চাওলা ছাড়া ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন ইরফান পাঠান ও ১টি করে উইকেট নেন বাংলার অশোক দিন্দা।


সেই বিশ্বকাপ ভারত জিততে পারেনি, কিন্তু বুড়ো তকমা পাওয়া হরভজন সেই ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন ফের। কেন তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অফস্পিনার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তা বুঝিয়ে দেন ভাজ্জি। 


আরও পড়ুন: তাঁর ব্যাটিং রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছেন 'বোলার' বুমরা, ট্যুইটে কী বললেন লারা?