IND Vs AUS Live: বেঙ্গালুরুতে ৬ রানে জয়ী ভারত, টি-২০ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ৪-১ ব্যবধানে
India Vs Australia 5th T20 Live Updates: সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে রানের ফোয়ারা। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে যেন ব্যাট-বলের কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ লড়াই। সেই ম্যাচেই ভারত টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৬০/৮। ম্যাচ জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে তুলতে হতো ১৬১ রান। সেখান থেকে ম্যাচের রাশ কখনও গিয়েছে ভারতের হাতে, কখনও অস্ট্রেলিয়ার হাতে।
শেষ ওভারে বাকি ছিল ১০ রান। ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে বিরাট ধাক্কা দিলেন অর্শদীপ। শেষ পর্যন্ত ১৫৪/৮ স্কোরে আটকে গেল অস্ট্রেলিয়া। ভারত ম্যাচ জিতল ৬ রানে। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করলেন অর্শদীপ।
মুকেশের ফুলটস বলে ১৬ রান করে ফিরলেন ম্যাথু শর্ট। পরের বলেই ডোয়ারশ্যুইসকে বোল্ড করলেন মুকেশ। ১৭ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১২৯/৭।
৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেন ম্যাকডারমটের। ৩৬ বলে ৫৪ রান করে অর্শদীপের শিকার তিনি। ১৫ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১১৬/৫।
১২ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৯০/৩। আর ৪৮ বলে ৭১ রান চাই অস্ট্রেলিয়ার।
রবি বিষ্ণোইয়ের বলে বোল্ড ট্র্যাভিস হেড (১৮ বলে ২৮ রান)। অ্যারন হার্ডিকেও ফেরালেন বিষ্ণোই। ৭ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫৫/৩।
জশ ফিলিপকে (৪) বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিলেন মুকেশ কুমার। ৩ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৮/১।
অর্শদীপ সিংহের প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলে টানা বাউন্ডারি ট্র্যাভিস হেডের। ২ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর বিনা উইকেটে ১৮ রান।
ব্যাট হাতে প্রত্যাঘাত শ্রেয়স আইয়ারের। ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স। নাথান এলিসের বলে তিনি যখন বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন, শ্রেয়সের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৭ বলে ৫৩ রান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অক্ষর পটেল। ২১ বলে ৩১ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৩ বলে ৪৬ রান যোগ করে তাঁরাই নিশ্চিত করেন যে, লড়াকু স্কোর বোর্ডে তুলতে পারবে ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত তোলে ১৬০/৮।
ঝোড়ো ব্যাটিং শ্রেয়স আইয়ারের। ৩২ বলে ৪১ রান করে ক্রিজে রয়েছেন শ্রেয়স। ১৮ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ১৩৪/৫।
৮ বলে ৬ রান করে তনবীর সাঙ্ঘার বলে ফিরলেন রিঙ্কু সিংহ। ১৬ বলে ২৪ রান করে ফিরলেন জিতেশ শর্মা। ১৪ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ৯৯/৫। ক্রিজে শ্রেয়স আইয়ার ও অক্ষর পটেল।
ডোয়ারশ্যুইসের বলে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব (৭ বলে ৫ রান)। ৭ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ৪৬/৩।
জেসন বেহরেনডর্ফের পরপর ২ বলে ছক্কা ও চার মারার পর আউট হয়ে ফিরলেন যশস্বী (১৫ বলে ২১ রান)। পরের ওভারে বেন ডোয়ারশ্যুইসের বলে ফিরলেন রুতুরাজ (১২ বলে ১০ রান)। ৫ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ৩৪/২।
অ্যারন হার্ডির বলে ছক্কা যশস্বী জয়সওয়ালের। ক্রিজে তাঁর সঙ্গী রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৩ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ১৭/০।
আর ২০ রান করলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম হিসাবে ২০০০ রান পূর্ণ করবেন সূর্যকুমার যাদব।
বাড়িতে আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জাতীয় দল ছেড়ে ফিরলেন দীপক চাহার। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি খেলছেন না। তাঁর পরিবর্তে নিয়মরক্ষার ম্যাচে খেলছেন অর্শদীপ সিংহ।
প্রেক্ষাপট
বেঙ্গালুরু: সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে রানের ফোয়ারা। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে যেন ব্যাট-বলের কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ লড়াই। তবে রায়পুরে সেই ম্যাচেই ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। রবিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তাই নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে ফের চার-ছক্কার ঝড় ওঠার সম্ভাবনা।
রায়পুরে ম্যাচ খেলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের মাঠে নামতে হচ্ছে দুই দলকেই। ভারতীয় দল এই সিরিজে কার্যত বিশ্বকাপে খেলা সমস্ত ক্রিকেটারদেরই বিশ্রাম দিয়েছে। একমাত্র সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) রয়েছেন। আর শেষ দুই ম্যাচে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। হার্দিক পাণ্ড্য ছিটকে যাওয়ার পর যিনি ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন, সেউ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার - ট্র্যাভিস হেড, তনবীর সঙ্ঘা ও ম্যাথু শর্ট বিশ্বকাপের শুরু থেকে ভারতেই রয়েছেন। বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা যে ছটফট করবেন, বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশনই তো অপূর্ণ থেকে গিয়েছে।
চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন ক্রিকেটারকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যাতে টানা খেলার ধকল থেকে ক্রিকেটারদের রক্ষা করা যায়। রায়পুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তারা একসঙ্গে পাঁচটি পরিবর্তন করেছিল। তবু তা ফলপ্রসূ হয়নি। সিরিজে সমতা ফেরাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বরং ভারত ৩-১ করে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় চিন্তা ভারতের স্পিন ফলা - রবি বিষ্ণোই ও অক্ষর পটেলকে খেলা। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।
তবে বেঙ্গালুরুর পিচে সেই উদ্বেগ কিছুটা কমতে পারে অস্ট্রেলিয়ার। কারণ, চিন্নাস্বামীর পিচে স্পিনারদের জন্য দারুণ কিছু সুবিধা থাকে না। অস্ট্রেলিয়ার সান্ত্বনা হবে ম্যাচ জিতে ভারতের মাটি ছাড়া।
ভারত সিরিজ জিতলেও দল হিসাবে দুর্দান্ত দাপট দেখায়নি। তবে অধিনায়র সূর্যকুমার যাদবকে স্বস্তি দেবে যে, দলের কয়েকজন ক্রিকেটার গোটা সিরিজে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এমনকী, রায়পুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে জিতেশ শর্মা ১৯ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। রিঙ্কু সিংহ প্রত্যেক ম্যাচে পারফর্ম করছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু ফিনিশারই নন, তিনি ইনিংস গড়তেও জানেন।
একমাত্র কাঁটা হতে পারে পেস বোলিং বিভাগ। অর্শদীপ সিংহ হোক বা মুকেশ কুমার, প্রত্যেকেই রান খরচ করছেন। তবে দীপক চাহারের প্রত্যাবর্তন ভারতীয় শিবিরকে কিছুটা চাঙ্গা করতে পারে। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে শুরুর স্পেলে দাগ কাটতে না পারলেও পরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছেন। শেষ ম্যাচে পেসারদের কাছে আরও ভাল পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করে থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -