রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি। যে শহরকে সকলে চেনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহর হিসাবে। আর সেই শহরেই দারুণ এক রেকর্ড সঙ্গী ছিল ভারতের।


শুক্রবারের আগে পর্যন্ত রাঁচিতে কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না হারার কীর্তি ছিল টিম ইন্ডিয়ার। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনটিই জিতেছিল ভারত। যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একটি ম্যাচ জিতেছিল ভারত। যদিও শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। রাঁচিতে ভারতকে ২১ রানে হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।


শুক্রবার ভারতের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে তাঁকে দেখাতেই জয়োধ্বনি দিল জনতা। কিন্তু নিজের শহরে বসে দলের হার দেখে যেতে হল মাহিকে। 


ম্যাচ জেতার জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৭৭ রানের। ১৫৫/৯ স্কোরে আটকে গেল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন একমাত্র ওয়াশিংটন সুন্দর ও সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ৫০ রান করলেন সুন্দর। তার আগে বল হাতেও নজর কেড়েছিলেন তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার। যাঁকে যুজবেন্দ্র চাহালের পরিবর্তে প্রথম একাদশে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫০ রান করে ফিরলেন সুন্দর। ৩৪ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন সূর্য। 


নিউজিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে সেরা মিচেল স্যান্টনার। যিনি নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চলতি সিরিজে। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। এক ওভার মেডেনও করেন। এদিন ১৮টি ডট বল করে রেকর্ড করেছেন স্যান্টনার। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৮টি ডট বল করেছিলেন ড্যানিয়েল ভেত্তোরি। সেটাই ছিল টি-টোয়েন্টিতে কোনও বোলারের করা সবচেয়ে বেশি ডট বল। সেই রেকর্ড স্পর্শ করলেন স্যান্টনার। তিনিও করলেন ১৮টি ডট বল।


প্রথমে ব্যাট করে কিউয়িরা তোলেন ১৭৬/৬। শুরুতে ফিন অ্যালেন ২৩ বলে ৩৫ রান করে ভারতীয় শিবিরে চাপ তৈরি করেন। পরে ওয়াশিংটন পরপর ২ উইকেট তুলে নিলেও, নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন ডেভন কনওয়ে। ৩৫ বলে ৫২ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ডের স্কোরকে লড়াকু জায়গায় নিয়ে যান ডারিল মিচেল। ম্যাচ জিততে ১৭৭ রানের বড় স্কোর তাড়া করতে হতো ভারতকে।


ভারতীয় বোলারদের মধ্যে নজর কাড়েন কুলদীপ যাদবও। চায়নাম্যান স্পিনার নিজের ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নেন এক উইকেট। তবে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে আর কেউই নজর কাড়তে পারেননি। ফের নো বল আতঙ্ক তাড়া করল অর্শদীপ সিংহকে। শেষ ওভারে তিনি নো বল করেন। ফ্রি হিটে ছক্কা মারেন ডারিল মিচেল। শেষ ওভারে ২৭ রান দেন অর্শদীপ। সেখানেই বদলে যায় ম্যাচের ছবি।




আরও পড়ুন: মানুষ না বাজপাখি! সুন্দরের ক্যাচ দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা