কলকাতা: ঠিক ছিল, বিকেল পাঁচটা থেকে ইডেনে প্র্য়াক্টিস করবে ভারতীয় দল। সেই মতো নেট খাটাচ্ছিলেন মাঠকর্মীরা।
ঘড়ির কাঁটা তখনও পাঁচটা পেরোয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই মাঠে ঢুকে পড়লেন তিনি। প্রাণবন্ত। ছটফটে। কিছুক্ষণ অস্ট্রেলীয় ফুটবল খেলে গা ঘামালেন। তারপরই নেমে পড়লেন ব্য়াট হাতে। প্রথমে প্র্য়াক্টিস নেটে। সেখানে ভারতীয় দলের দুই থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট তাঁকে একের পর এক বল ছুড়তে লাগলেন। সাবলীল ভঙ্গিতে ড্রাইভ মেরে চললেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। দেখে কে বলবে যে, ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন! বরং মনে হবে, এমন রাজসিক ব্যাটিং সাধনা করেন যিনি, তিনি তো বিশ্বক্রিকেটকে ব্যাট হাতে শাসন করবেনই।
তবে বিরাট কোহলির প্রস্তুতির অন্ধকার দিকও রয়েছে। নেটে দুবার কোহলির অফস্টাম্প উড়ল। একবার দীপক চাহারের বলে। দ্বিতীয়বার ঘাতক হরপ্রীত ব্রার। কোহলি যে মোটেও প্রসন্ন হলেন না, বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে রানে ফিরতে মরিয়া কোহলি নতুন করে স্টান্স নিলেন। ফের নতুন করে শুরু হল সাধনা। যেন ছাইয়ের গাদা থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ানের স্বপ্ন দেখছেন কোহলিও।
মঙ্গলবার ছিল ভারতীয় দলের ঐচ্ছিক প্র্যাক্টিস। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যুজবেন্দ্র চাহাল, শার্দুল ঠাকুরের মতো অনেকেই প্র্যাক্টিসে আসেননি। কিন্তু ছন্দ হাতড়ে বেড়ানো কোহলির কাছে বিশ্রাম মানে যেন এখন বিলাসিতা। তাই তিনি হাজির হয়ে গেলেন। এবং প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলল ব্যাটিং সাধনা।
কখনও থ্রো ডাউন, কখনও নেটে বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং। কখনও প্র্য়াক্টিস নেটে। কখনও মূল উইকেটের বাইরে প্র্যাক্টিস পিচে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোহলির রানে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কোহলি নাছোড়বান্দা। নিজের প্রস্তুতিতে বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে চান না।
সন্ধ্যা প্রায় ৬টা। ঘামে চুপচুপে জার্সি পরে মাঠ ছাড়ছেন কোহলি। গ্যালারি থেকে তেরঙা উড়িয়ে শঙ্খধ্বনি করছেন সচিন-ভক্ত সুধীর গৌতম। যেন নতুন যুদ্ধের সূচনা। যার একপ্রান্তে ক্যারিবিয়ান বোলারকুল। সঙ্গে প্রবল মানসিক চাপ। অন্যদিকে ব্যাট হাতে নিজের প্রস্তুতিতে মগ্ন হয়ে থাকা বিরাট। সাফল্যের জন্য যিনি মরিয়া।
বুধবার ইডেনে কার দিকে পাল্লা ভারি?