নয়াদিল্লি: তাঁর নিজের শহর। এই শহরে ক্রিকেট খেলেই তাঁর উত্থান। এখন তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাও দিল্লিকে ভোলা সম্ভব নয় বিরাট কোহলির পক্ষে। আর সেই কারণেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে রাজধানীতে পা রাখা ইস্তক তিনি খোশমেজাজে ছিলেন। কখনও স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে শহরে বেরিয়ে পড়ছিলেন, তো কখনও আবার নিজের রেস্তোরাঁয় আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন সতীর্থদের।


আর সেই দিল্লি থেকেই কি না পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। তাও নিজে হাফসেঞ্চুরি করা সত্ত্বেও। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দিল্লির সামার-সল্ট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরে আঁধার নামালেন ফিল সল্ট। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেললেন। সেই ধাক্কাতেই কাত আরসিবি। ৩.২ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল দিল্লি। 


বলা হয়, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটিংয়ের মাথা ভারি। কোমর থেকে পা পর্যন্ত শীর্ণকায়। বিরাট কোহলি-ফাফ ডুপ্লেসি-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের বল্লা চললে বর্ণময় ইনিংস। আর শুরুতে রোশনাই না জ্বললে মাঝপর্ব থেকে শুধুই অন্ধকার।


কার্যত সেই ছবিই দেখা যাচ্ছিল শনিবারের ফিরোজ শাহ কোটলায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। তাঁর ৪৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি। তাঁর সঙ্গে ইনিংসে ওপেন করতে নেমে ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেললেন ফাফ ডুপ্লেসি। যিনি এখন সম্পূর্ণ ফিট। দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। ডুপ্লেসি মেরেছেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।


কিন্তু পুরনো রোগ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। ওপেনিং জুটিতে ৬৩ বলে ৮২ রান উঠে যাওয়ার পরেও পরপর উইকেট হারিয়ে বসেছিল আরসিবি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কোনও রান না করে ফেরেন। ৯ বলে ১১ রান করে ফিরলেন দীনেশ কার্তিক। ফের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কি বিপন্ন হবে আরসিবি?




আরও পড়ুন: রান্নার তেলের বোতলে কেন এমন ঢাকনা থাকে জানেন?




তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হতে দিলেন না মহীপাল লোমরর। চলতি আইপিএলে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলছেন। শনিবার চার নম্বরে নেমে ২৯ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। অপরাজিতও রইলেন। লোমররের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। প্রায় ১৮৭ স্ট্রাইক রেট রেখে রান করলেন। তাঁর জন্যই দিল্লি প্রত্যাঘাত করেও আরসিবির রানকে দেড়শোর মধ্যে বেঁধে রাখতে পারল না। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে আরসিবি।


তখন মনে করা হচ্ছিল, বেশ বড় স্কোর তুলেছেন বিরাটরা। কিন্তু সল্টের গুঁতোয় আরসিবির স্বপ্ন তছনছ। ১৪ বলে ২২ করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিংয়ে সল্ট ও ওয়ার্নার জুটি মাত্র ৫.১ ওভারে ৬০ রান যোগ করেন। মিচেল মার্শ ১৭ বলে ২৬ রান করেছেন। ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রিলি রুসৌ।





আরও পড়ুন: দুরন্ত কিপিং থেকে দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং, গুজরাতকে জিতিয়ে কী বললেন ঋদ্ধিমান?