আমদাবাদ: মরসুম পাল্টালেও পাল্টাল না গুজরাত টাইটান্সের (GT vs CSK) বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংসের ভাগ্য। আইপিএলে টানা তিন ম্যাচে সিএসকে-কে হারাল গুজরাত। যারা গতবারই আইপিএলে অভিষেক ঘটিয়েছে। গতবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল গুজরাত। দুবারের সাক্ষাতে দুবারই হারিয়েছিল সিএসকে-কে। এবারও সেই ছবি অপরিবর্তিত। চেন্নাইয়ের ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল গুজরাত। সেই সঙ্গে চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হারানোর হ্যাটট্রিকও সেরে ফেললেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তুলেছিল ১৭৮/৭। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিলেন শুভমন গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। মাত্র ৩.৫ ওভারে ৩৭ রান তুলে ফেলে গুজরাত। ১৬ বলে ২৫ রান করে ফেরেন ঋদ্ধিমান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে নামেন সাই সুদর্শন। ১৭ বলে ২২ রান করেন তিনি। তবে শুভমন ছিলেন অনবদ্য ছন্দে। ৩৬ বলে ৬৩ রান করেন ভারতীয় তারকা। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
শেষের দিকে বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৭ রান করেন। রশিদ খান ৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৪ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাহুল তেওয়াতিয়া। সিএসকে বোলারদের মধ্যে একমাত্র রাজবর্ধন হাঙ্গরগেকর নজর কাড়েন। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে ৩.২ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন তুষার দেশপাণ্ডে। মাত্র ১ উইকেট পান তিনি।
প্রথমার্ধে শিরোনামে ছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্সের (GT vs CSK) বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। ৫০ বলে ৯২ রান করেন তিনি। মারেন ৪টি চার ও ৯ ছক্কা। রুতুরাজের ব্যাটের শাসনে ষোড়শ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ১৭৮/৭।
শুরুতেই ডেভন কনওয়ের স্টাম্প ছিটকে দেন মহম্মদ শামি। যিনি দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। মাত্র ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিএসকে। তবে সেখান থেকেই ম্যাচ ধরে নেন রুতুরাজ ও অভিজ্ঞ মঈন আলি। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ২১ বলে ৩৬ রান যোগ করেন। ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন মঈন। রান পাননি বেন স্টোকস। ৭ রান করে আউট হন। অম্বাতি রায়ডুও মাত্র ১২ রান করে ফেরেন। শিবম দুবে ১৮ বলে ১৯ রান করেন। মাত্র ১ রান করে ফেরেন রবীন্দ্র জাডেজা। ৭ বলে একটি চার ও একটি বিশাল ছয় মেরে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি। ১৭৮/৭ তোলে চেন্নাই।
যদিও সেই রান গুজরাতকে আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল না। যা পরাজয়ের পর স্বীকার করে নিলেন ধোনিও।