বেঙ্গালুরু: এক নয়। দুই নয়। তিন নয়। চার নয়। টানা পাঁচ। এবং পাঁচে পাঁচ।


আইপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৫১/৯ স্কোরে আটকে গেল দিল্লি। ২৩ রানে ম্যাচ জিতল আরসিবি।


প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তুলেছিল ১৭৪/৬। ঝোড়ো শুরুটা করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সঙ্গী ফাফ ডুপ্লেসি। মাত্র ৪.৪ ওভারে ৪২ রান তুলে ফেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ১৬ বলে ২২ রান করে ডুপ্লেসি ফিরলেও, মহীপাল লোমরর এসে বিরাটের সঙ্গে ধ্বংসলীলায় যোগ দেন। ৩৪ বলে ৫০ রান করে কোহলি যখন ফিরছেন, আরসিবির স্কোর ১০.১ ওভারে ৮৯/২। ওভার প্রতি প্রায় ৯ রান করে উঠছে। প্রোজেক্টেড স্কোর দেখাচ্ছে, দুশো তুলে ফেলাও সম্ভব।


সেখান থেকে প্রত্যাঘাত করে দিল্লি ক্যাপিটালস। কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল, মিচেল মার্শ, ললিত যাদব - দিল্লির সব বোলাররাই আঁটসাঁট বোলিং করেন। যাঁদের সামনে থমকে গেল আরসিবি। ১৭৪/৬ স্কোরে আটকে যায় আরসিবি। ম্যাচ জিততে ১৭৪ রান করতে হতো ডেভিড ওয়ার্নারদের। অনেকে ভেবেছিলেন, বোলাররা ঘুরে দাঁড়ানোর পর হয়তো টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ের মুখ দেখবে দিল্লি। যদিও দিল্লির স্পিনার কুলদীপ যাদব জানিয়েছিলেন যে, পিচ বেশ মন্থর গতির। বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে আসছে না। এই পিচে ১৭৪ রান ভাল স্কোর। তিনি নিজের দলের ব্যাটারদের উপদেশ দেন যে, স্পিনারদের বলে খুচরো রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখতে হবে।


ম্যাচে দেখা গেল, কুলদীপ ভুল বলেননি। দিল্লির স্ট্রোক প্লেয়াররা কেউই সেভাবে ব্যাটে বলে টাইমিং করতে পারছিলেন না। একমাত্র মণীশ পাণ্ডে কিছুটা লড়াই করেন। তিনি হাফসেঞ্চুরিও করেন। ৩৮ বলে ৫০ রান করে ফেরেন কর্নাটকের ক্রিকেটার। আর কেউই সেভাবে আরসিবি শিবিরে পাল্টা লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে পারেননি।


ম্যাচের সেরা বিরাট


আইপিএলে ব্যাট হাতে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) তাণ্ডব চলছে। শনিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) বিরুদ্ধে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন কোহলি। মাত্র ৩৩ বলে পূর্ণ করলেন হাফসেঞ্চুরি। স্মরণীয় হয়ে রইল হাফসেঞ্চুরির পর তাঁর সেলিব্রেশনও। হাত দিয়ে বুক ঠুকে হুঙ্কার করতে দেখা গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তারকাকে। মাঠের যে আগ্রাসনের জন্য কোহলি বিখ্যাত। ভক্তরাও চান, সাফল্যের পর এভাবেই উৎসব করুন কোহলি। তাতে যে গোটা দলের মনোবল এক ধাক্কায় বেড়ে যায়।


শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৫০ রান করে আউট হলেন কোহলি। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও একটি বিশাল ছক্কা। আইপিএলে এটি কোহলির ৪৭তম হাফসেঞ্চুরি। সঙ্গে রয়েছে ৫টি সেঞ্চুরিও। ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় কোহলিকেই


আরও পড়ুন: চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি, মিষ্টি দই, নববর্ষে কেকেআর শিবিরের মেন্যুতে কী?