দুবাই: টুর্নামেন্টে তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কে বলতে পারে আইপিএলের ফাইনালে হয়তো দুই দলই মুখোমুখি হয়ে রুদ্ধশ্বাস কোনও লড়াইয়ে মেতে উঠবে না?


কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর্দা সরিয়ে দিলেই ধরা পড়ে অন্য ছবি। যে ছবি বলে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (MS Dhoni) বড় ভক্ত বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এতটাই যে, ধোনি যখন চেন্নাই সুপার কিংসকে ম্যাচ জেতাচ্ছেন, চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠছেন বিরাট। আনন্দে। পরমুহূর্তেই  ধোনিকে সর্বকালের সেরা ফিনিশার বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন কোহলি।


রবিবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় ধোনির ব্যাট। ফের ফিনিশার ধোনির ঝলক দেখা যায়। দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় সিএসকে। সেই ম্যাচের পরই বিরাটের ট্যুইট, 'এবং রাজার প্রত্যাবর্তন। ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ফিনিশার। এমএসধোনির খেলা আমাকে সিট ছেড়ে লাফিয়ে উঠতে বাধ্য করেছিল'।



একেই বোধহয় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আর ওস্তাদের নাম যদি হয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, তবে তো কথাই নেই। বয়স বেড়েছে, কিন্তু এখনও যে খিদেটা একইরকম তা বুঝিয়ে দিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মানেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ৬ বলে ১৩ রান দরকার ছিল। সেই ম্যাচ ২ বল বাকি থাকতেই জিতিয়ে দিলেন এমএসডি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে এবারের আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। রবিবার দুবাইয়ে ৪ উইকেটে তারা হারিয়ে দিল দিল্লিকে।


আরও পড়ুন: দুবাইয়ে দিল্লি বধ, বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চেন্নাইকে আইপিএল ফাইনালে তুললেন ধোনি


১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথমেই এদিন আনরিচ নোখিয়ার বলে আউট হয়ে ফিরে যান ফাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু এরপরই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবিন উথাপ্পা। দুজনে মিলে দলের স্কোর একশোর গণ্ডি পার করে দেন। ২ জনেই অর্ধশতরানও পূরণ করেন। উথাপ্পা ৬৩ রানে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। অন্যদিকে রুতুরাজ ৭০ রান করে আউট হন। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে, হেসেখেলে জয় ছিনিয়ে নেবে সিএসকে। কিন্তু পরপর সেখান থেকে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে ধোনি ক্রিজে আসার পর আর চাপ বাড়েনি সিএসকের। ৬ বলে ১৮ রান করে ম্যাচের শেষে অপরাজিত থাকেন ধোনি।