নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে চর্চিত তারকাদের মধ্যে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নাম অবশ্যই থাকবে। বিরাট কোহলির ভারতীয় অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সময়কালে সৌরভ-বিরাট বিবাদ বারংবার শিরোনামে উঠে এসেছে। দুই মহাতারকার সম্পর্ক নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। সেই বিতর্ক এ মরসুমের আইপিএলে আরসিবি বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (RCB vs DC) ম্যাচে ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
বিরাট-সৌরভ বিবাদ
দিল্লি বনাম আরসিবি ম্যাচের পর দুইজন দু'জনের সঙ্গে কোনও সৌজন্য সাক্ষাত করেননি, হাতও মেলাননি। এমনকী ফিল্ডিংয়ের সময়ে দিল্লির ডাগ আউটের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে ছিলেন সৌরভ। যা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কম চর্চা হয়নি। এবার সেই আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি। কিছুদিন আগে বিরাট সৌরভকে আনফলো করে দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম থেকে। সৌরভও দিল্লি ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করে দিয়েছিলেন বিরাটকে।
ওয়াটসনের মতামত
দিল্লি-আরসিবি ম্যাচে ক্যাপিটালসের ডাগ আউটে উপস্থিত ছিলেন শেন ওয়াটসন (Shane Watson)। তিনি সৌরভ-বিরাট বিবাদে একেবারে সামনে থেকে চাক্ষুষ করেছেন। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন, 'আমি নিশ্চিক হয়ে কিছু বলতে পারব না, হয়তো কেউ গুজব ছড়াচ্ছে। আমি এ সবের মধ্যে জড়াতে চাই না। তবে বিরাটের মধ্যে একটা বাড়তি উদ্যম দেখা যাচ্ছিল। প্রতিপক্ষ হিসাবে এটা কিন্তু খুবই চাপের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতেই কিন্তু বিরাট সবথেকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তবে ঠিক কী কারণে ওর মধ্যে এই বাড়তি উদ্যম দেখা গিয়েছিল, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।'
দিল্লি ট্রায়ালে অভিমন্যু
টানা পাঁচ ম্যাচে হার। প্যানিক বাটন প্রেস করে দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) কর্তারা। দলের সব ভারতীয় ব্যাটাররা ব্যর্থ।অগত্যা আনক্যাপড ও নিলামে অবিক্রিত দুই ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠাল দিল্লি। যাঁদের মধ্যে একজন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। অন্যজন প্রিয়ম গর্গ। এক সময় যিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন।
পৃথ্বী শ রান পাচ্ছেন না। যশ ধূল, ললিত যাদব, কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে লাল বলের দুই বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠাল দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লি দলের দিকে নজর রাখা আইপিএলের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ২৫ ক্রিকেটারকে নেওয়া যেতে পারে যে কোনও দলে। দিল্লি দলে ইতিমধ্যেই ২৫ জন রয়েছে। তাই কীভাবে কারও পরিবর্ত নেওয়া যায়, দেখা হচ্ছে। আপাতত শুধু এটুকু বলা যেতে পারে যে, দুই ক্রিকেটারই ট্রায়ালের জন্য আসছেন।
দিল্লি দলে ফিটনেসের অভাবে ভুগছেন একমাত্র খলিল আমেদ। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট রয়েছে তাঁর। তবে দিল্লি শিবির আশাবাদী যে, খলিল ফিট হয়ে যাবেন। দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্টের আতঙ্ক অবশ্য স্বাভাবিক কারণেই। কিন্তু তাই বলে অভিমন্যু ঈশ্বরণ? অনেকেই বাংলার ক্রিকেটারকে ট্রায়ালে ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ, ওয়ান ডে ক্রিকেটেও তাঁকে নিয়মিত মনে করা হয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ২৭টি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তাও গত ১০ বছরের কেরিয়ারে। ওপেনার হিসাবে মাত্র ১২১ স্ট্রাইক রেট। একটিমাত্র সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই তাঁর ট্রায়ালে ডাক পাওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: লম্বা চুলের রহস্য কী? নাইট রাইডার্সের নতুন তারকা নিজেই জানালেন নেপথ্য কারণ