আবু ধাবি: সুনীল নারাইনের বলে সপাটে ব্যাট চালালেন মরিয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বল উড়ে যাচ্ছে বাউন্ডারির দিকে। আর রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা দুই দলের ক্রিকেটার ও সমর্থকদের। কয়েক সেকেন্ডের প্রবল উদ্বেগ। বল আছড়ে পড়ল বাউন্ডারিতে। কিন্তু সীমানার এপারে, নাকি ওপারে!

ধন্দে মাঠের আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি। চারের ইঙ্গিত করলেও তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চাইলেন তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বল বাউন্ডারির মাত্র ইঞ্চি দুয়েক আগে ড্রপ খেয়ে সীমানা অতিক্রম করেছে। আম্পায়ার বাউন্ডারির নিশানা দেখাতেই খুশিতে ডগমগ কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির। আর হতাশার অন্ধকার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডাগ আউট-ড্রেসিংরুমে। দুহাত দিয়ে মুখ ঢাকলেন পঞ্জাবের কোচ অনিল কুম্বলে। চোখ বন্ধ করে ফেললেন পঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল।

শেষ বলে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার ছিল পঞ্জাবের। তবে নারাইনের বলে ম্যাক্সওয়েল ছক্কা মেরে দিলে ম্যাচ টাই হয়ে যেত। আর ফলাফলের জন্য শুরু হতো সুপার ওভার। ফের একবার দু পয়েন্ট ঘরে তোলার সুযোগ পেত পঞ্জাব। তবে ম্যাক্সওয়েলের শট বাউন্ডারি লাইনের সামান্য ভিতরে পড়তেই সেই আশায় জল। মাত্র ২ রানে কেকেআরের কাছে হারতে হল পঞ্জাবকে।

মাত্র ২ ইঞ্চির জন্য পরাজয় হজম করা কতটা কঠিন? ম্যাচের শেষে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এবিপি আনন্দের প্রশ্নে পঞ্জাব ব্য়াটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ ময়ঙ্ক অগ্রবাল বললেন, ‘সত্যি, খুব কঠিন এই হার হজম করা। সামান্য ব্যবধান ছিল বল আর বাউন্ডারির।’ ময়ঙ্ক যোগ করলেন, ‘তবে আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। এখনও সাত ম্যাচ বাকি। ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই।’

https://bengali.abplive.com/sports/kkr-vs-kxip-ipl-2020-what-was-the-strategy-in-final-3-overs-kkr-captain-dinesh-karthik-reveals-in-response-to-question-from-abp-live-746431/amp

শনিবার ব্যাট হাতে অধিনায়ক কে এল রাহুলের (৫৮ বলে ৭৪ রান) সঙ্গে লড়াই করলেন ময়ঙ্ক (৩৯ বলে ৫৬ রান)। তবু শেষরক্ষা হল না। কর্নাটকের ওপেনার বললেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট হারিয়েছি। যে সময় আমি ও রাহুল আউট হয়েছি, তখন নতুন ব্যাটসম্যানের পক্ষে নেমে রান করা সহজ ছিল না। এই হার হজম করা খুব কঠিন।’ আপনার ও রাহুলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সমস্যায় ফেলছে? ময়ঙ্কের জবাব, ‘যারা ভাল খেলছে, তাদের কাছে বড় রান প্রত্যাশা করাই তো স্বাভাবিক।’